গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় গনোরিয়া রোগের টেস্ট
Rokonit7✅
১৮ জুল, ২০২৫
গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আর সঠিক তথ্য পেতে এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখতে আরো গনোরিয়া রোগের টেস্ট এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় গনোরিয়া রোগের টেস্ট এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে নিচের আর্টিকেলগুলি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু বুঝতে পারবেন।
গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় গনোরিয়া (Gonorrhea) হলো একটি যৌনবাহিত রোগ (STD), যা Neisseria gonorrhoeae নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এটি পুরুষ ও নারী উভয়েরই প্রজনন অঙ্গে সংক্রমণ ঘটাতে পারে এবং অন্যান্য অঙ্গ যেমন মূত্রনালী, গলা, চোখ বা মলদ্বারে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। গনোরিয়া থেকে মুক্তির উপায়:
চিকিৎসা (Treatment): গনোরিয়া রোগের নিরাময়যোগ্য চিকিৎসা রয়েছে। সাধারণত: অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন: যেমন সেফট্রিয়াক্সোন (Ceftriaxone) ইনজেকশন (IM)। মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক: ডাক্তার কখনও কখনও অ্যাজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin) বা ডোক্সিসাইক্লিন (Doxycycline) প্রেসক্রাইব করতে পারেন।
নিজে থেকে ওষুধ খাওয়া যাবে না। অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সঙ্গীর চিকিৎসা: আপনার যৌনসঙ্গীও যদি সংক্রমিত হন, তাকেও একসাথে চিকিৎসা করানো জরুরি। নাহলে রোগ পুনরায় সংক্রমণ ঘটতে পারে। চিকিৎসা চলাকালীন ও কিছুদিন পরে যৌন মিলন বন্ধ রাখা:
চিকিৎসা চলাকালীন এবং চিকিৎসার পরে অন্তত ৭ দিন পর্যন্ত যৌন সম্পর্ক এড়ানো উচিত, যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: কনডম ব্যবহার করুন: যৌন মিলনের সময় নিয়মিত কনডম ব্যবহার করলে গনোরিয়াসহ অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
অল্প বা একাধিক যৌনসঙ্গী এড়ানো: নির্দিষ্ট একজন সঙ্গীর সাথে নিরাপদ যৌন সম্পর্ক রক্ষা করুন। নিয়মিত STD টেস্ট করা: আপনি বা আপনার সঙ্গীর STD-এর ইতিহাস থাকলে নিয়মিত পরীক্ষা করান। পুনরায় পরীক্ষা: চিকিৎসার ৩ মাস পর পুনরায় পরীক্ষা করানো উচিত যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন কিনা।
গনোরিয়া একটি গুরুতর কিন্তু নিরাময়যোগ্য রোগ। দ্রুত চিকিৎসা নিলে দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা যেমন বন্ধ্যত্ব, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া বা গর্ভাবস্থায় সমস্যা এড়ানো যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। আপনি যদি উপসর্গ অনুভব করেন বা সন্দেহ হয়, তাহলে দেরি না করে একজন যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
গনোরিয়া রোগের টেস্ট
গনোরিয়া রোগের টেস্ট গনোরিয়া (Gonorrhea) একটি যৌনবাহিত রোগ (STD), যা Neisseria gonorrhoeae নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়। এই রোগের সঠিক নির্ণয়ের জন্য কয়েকটি নির্দিষ্ট টেস্ট করা হয়ে থাকে। গনোরিয়া নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত টেস্টগুলো: NAAT (Nucleic Acid Amplification Test) – সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও আধুনিক
এটি ইউরিন বা স্যাম্পল (যেমন সার্ভিক্স, ইউরেথ্রা, গলা বা পায়ুপথ থেকে নেওয়া সোয়াব) থেকে ব্যাকটেরিয়ার DNA শনাক্ত করে। অত্যন্ত সংবেদনশীল ও নির্ভুল। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই টেস্টটি উপলব্ধ। গ্রাম স্টেইন (Gram Stain) পুরুষদের ইউরেথ্রাল সোয়াবে দ্রুত প্রাথমিক শনাক্তকরণে ব্যবহার হয়।
গনোরিয়ার ব্যাকটেরিয়া মাইক্রোস্কোপে দেখা যায়। মহিলা রোগীদের জন্য নির্ভরযোগ্যতা কম। কালচার টেস্ট (Bacterial Culture) সোয়াব থেকে ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে চিহ্নিত করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক কোনটা কার্যকর হবে তা নির্ধারণ করতেও ব্যবহৃত হয়। ইউরিন টেস্ট বিশেষ করে পুরুষদের জন্য; প্রথম ইউরিন স্যাম্পল ব্যবহার করা হয়। গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
প্রায়শই NAAT-এর অংশ হিসেবে করা হয়। কোথায় করাবেন? সরকারি হাসপাতাল/STD ক্লিনিক: সুলভ মূল্যে বা বিনামূল্যে করা হয়। বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার: উন্নত ও দ্রুত ফলাফলের ব্যবস্থা থাকে। নাম জানা সেন্টারগুলোতে NAAT টেস্ট পাওয়া যায়। লক্ষণ ছাড়াও টেস্ট করানো উচিত যদি: অনিরাপদ যৌনসম্পর্ক হয়। গনোরিয়ার লক্ষণ দেখা যায় (জ্বলুনি, স্রাব, ব্যথা ইত্যাদি)। পার্টনারের STD ধরা পড়ে।
গনোরিয়া রোগ কি কারনে হয়
গনোরিয়া রোগ কি কারনে হয় গনোরিয়া (Gonorrhea) একটি যৌনবাহিত রোগ (Sexually Transmitted Disease, STD), যা Neisseria gonorrhoeae নামক একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। গনোরিয়া হওয়ার প্রধান কারণ: অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক: যৌন মিলনের সময় কনডম ব্যবহার না করা।
মুখমৈথুন (oral sex), পায়ুপথে যৌনমিলন (anal sex), বা যোনিপথে যৌনমিলনের মাধ্যমে ছড়ায়। একাধিক যৌনসঙ্গী থাকা: একাধিক পার্টনার থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। সংক্রমিত সঙ্গীর সঙ্গে যৌন মিলন: কোনো লক্ষণ না থাকলেও একজন সংক্রমিত ব্যক্তি রোগটি ছড়িয়ে দিতে পারে। প্রসবের সময় মা থেকে সন্তানের মধ্যে সংক্রমণ:
গর্ভবতী মা যদি গনোরিয়ায় আক্রান্ত হন, তবে প্রসবের সময় শিশুও সংক্রমিত হতে পারে (বিশেষত চোখে সংক্রমণ হয়)। লক্ষণ (সংক্ষিপ্তভাবে): পুরুষদের ক্ষেত্রে: প্রস্রাবে জ্বালা পুঁজের মতো স্রাব অণ্ডকোষে ব্যথা নারীদের ক্ষেত্রে: যোনি থেকে স্রাব প্রস্রাবে জ্বালা তলপেটে ব্যথা অনিয়মিত মাসিক।
প্রতিরোধ: যৌন মিলনের সময় কনডম ব্যবহার করা নিয়মিত STD পরীক্ষা করানো (বিশেষ করে যদি একাধিক সঙ্গী থাকে) সংক্রমণ থাকলে চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা ও সঙ্গীকেও চিকিৎসা করানো আপনি যদি সন্দেহ করেন যে গনোরিয়া হয়েছে, তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ চিকিৎসার অভাবে এটি বন্ধ্যাত্ব বা অন্যান্য জটিলতার কারণ হতে পারে।
গনোরিয়া রোগের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা
গনোরিয়া রোগের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা গনোরিয়া (Gonorrhea) একটি যৌনবাহিত রোগ (STD), যা Neisseria gonorrhoeae নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। এটি সাধারণত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায় এবং পুরুষ ও নারী উভয়েরই যৌন অঙ্গ, মূত্রনালী, গলা ও রেকটামে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এলোপ্যাথিক চিকিৎসা (Allopathic Treatment) – ২০২৫ সালের গাইডলাইন অনুযায়ী: গনোরিয়ার চিকিৎসায় বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য সবচেয়ে কার্যকর ও সুপারিশকৃত এলোপ্যাথিক অ্যান্টিবায়োটিক হলো: প্রথম সারির চিকিৎসা: Ceftriaxone 500 mg – একবার ইনজেকশন (IM) (যদি ওজন 150 কেজির বেশি হয়, তবে 1 গ্রাম দেওয়া হয়।)
অতিরিক্ত সংক্রমণ থাকলে (যেমন – ক্ল্যামাইডিয়া): Doxycycline 100 mg – দিনে ২ বার, ৭ দিন (মুখে খাওয়ার ক্যাপসুল) অনেক সময় গনোরিয়া ও ক্ল্যামাইডিয়া একসাথে সংক্রমণ করে। তাই দুই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। অন্যান্য বিবেচনা: চিকিৎসা নেওয়ার ৭ দিন পর্যন্ত যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকুন। গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
সঙ্গীকেও অবশ্যই পরীক্ষা ও চিকিৎসা করাতে হবে। মাস পরে ফলো-আপ টেস্ট করানো ভালো। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স (প্রতিরোধ ক্ষমতা) বেড়ে যাওয়ায় ডাক্তারদের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক। ঘরোয়া চিকিৎসা বা ভুল পদ্ধতি এড়িয়ে চলুন: গনোরিয়া একটি জটিল রোগে পরিণত হতে পারে যদি সঠিক চিকিৎসা না করা হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট বা টেস্টিসে ইনফেকশন হতে পারে, নারীদের ক্ষেত্রে ইনফার্টিলিটি (বন্ধ্যত্ব) হতে পারে।
গনোরিয়া কত দিনে ভালো হয়
গনোরিয়া কত দিনে ভালো হয় গনোরিয়া (Gonorrhea) একটি যৌনবাহিত রোগ (STD), যা Neisseria gonorrhoeae নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে। সঠিক চিকিৎসা শুরু করলে সাধারণত এটি ৭ দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসা: গনোরিয়ার চিকিৎসার জন্য সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, যেমন:
Ceftriaxone (ইনজেকশন) Azithromycin (ট্যাবলেট) প্রতিক্রিয়া: চিকিৎসা শুরু করার ১–২ দিনের মধ্যেই লক্ষণগুলো অনেকটাই কমে যায়, তবে পুরোপুরি ভালো হতে প্রায় ৭ দিন সময় লাগে। যা মানা জরুরি: চিকিৎসা চলাকালীন এবং ভালো হওয়ার পরে অন্তত ৭ দিন যৌনসম্পর্ক থেকে বিরত থাকুন।
আপনার সঙ্গীকেও চিকিৎসা নেওয়া উচিত, নাহলে আবার সংক্রমণ হতে পারে। চিকিৎসা শেষে আবার টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়া ভালো যে ইনফেকশন পুরোপুরি সেরে গেছে কিনা। চিকিৎসা না করলে গনোরিয়া পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট বা অণ্ডকোষে সংক্রমণ এবং নারীদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আপনার বা আপনার পরিচিত কারও যদি এই সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে জরুরি। চিকিৎসা ছাড়া সময়ের সাথে গনোরিয়া ভালো হয় না—বরং আরও খারাপ হতে পারে। গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
গনোরিয়া রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
গনোরিয়া রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা গনোরিয়া (Gonorrhea) হলো একটি যৌনবাহিত সংক্রমণ (STD), যা Neisseria gonorrhoeae নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে। এটি নারী ও পুরুষ উভয়েরই যৌনাঙ্গ, মূত্রনালী, গলা, ও মলদ্বারে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। গনোরিয়ার লক্ষণসমূহ: পুরুষদের ক্ষেত্রে:
প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া পুরুষাঙ্গ থেকে পুঁজের মতো সাদা, হলুদ বা সবুজ স্রাব অণ্ডকোষে ব্যথা বা ফোলা নারীদের ক্ষেত্রে: যোনি থেকে অস্বাভাবিক স্রাব প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া তলপেটে ব্যথা যৌনমিলনের সময় ব্যথা অনিয়মিত ঋতুস্রাব অন্যান্য অবস্থায়: গলায় সংক্রমণ হলে গলা ব্যথা
মলদ্বারে সংক্রমণ হলে চুলকানি, রক্তপাত বা ব্যথা হতে পারে চোখে সংক্রমণ হলে চোখ লাল হওয়া ও পুঁজ পড়া অনেক সময় নারীদের ক্ষেত্রে গনোরিয়া উপসর্গহীনও হতে পারে, ফলে এটি নিরীক্ষা না করলে ধরা পড়ে না। চিকিৎসা: গনোরিয়ার চিকিৎসা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে করা হয়।
বর্তমানে ব্যবহৃত সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক: Ceftriaxone (সেফট্রিয়াক্সোন) ইনজেকশন হিসেবে মাঝে মাঝে Azithromycin বা অন্য ওষুধও ব্যবহার করা হয়, তবে বর্তমানে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী গনোরিয়ার জন্য শুধুমাত্র সেফট্রিয়াক্সোনই সবচেয়ে কার্যকর বলে বিবেচিত।
সতর্কতা: চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা জরুরি যৌনসঙ্গীকেও চিকিৎসা নিতে হবে চিকিৎসা চলাকালীন এবং পরবর্তী কিছুদিন যৌনসম্পর্ক পরিহার করা উচিত প্রতিরোধ: কন্ডোম ব্যবহার নিয়মিত STD পরীক্ষা একাধিক যৌনসঙ্গীর ক্ষেত্রে সতর্কতা উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
চিকিৎসা ছাড়া করলে গনোরিয়া মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে, যেমন: বন্ধ্যত্ব (নারী ও পুরুষ উভয়ের) গর্ভধারণজনিত জটিলতা গর্ভকালীন শিশুর চোখে সংক্রমণ গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
গনোরিয়া রোগ কি ভাল হয়
গনোরিয়া রোগ কি ভাল হয় গনোরিয়া (Gonorrhea) একটি যৌনবাহিত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ যা Neisseria gonorrhoeae ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। এটি পুরুষ ও নারী উভয়ের প্রজনন অঙ্গ, মূত্রনালী, গলা বা চোখেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে। গনোরিয়া কি ভাল হয়?
হ্যাঁ, গনোরিয়া সম্পূর্ণভাবে ভালো হওয়া সম্ভব, তবে তার জন্য সঠিক চিকিৎসা এবং সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। চিকিৎসা: গনোরিয়া সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। বর্তমানে সেফট্রিয়াক্সোন (Ceftriaxone) নামক ইনজেকশন এবং কখনো কখনো অন্য ওষুধ যেমন অ্যাজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin) সহ ব্যবহৃত হয়।
চিকিৎসা শুরু করলে কয়েকদিনের মধ্যেই উপসর্গ অনেকটা কমে যায়। চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যৌনসম্পর্ক থেকে বিরত থাকা উচিত। সবসময় উচ্চমানের কনডম ব্যবহার করা উচিত ভবিষ্যতে সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য। সঙ্গীকেও পরীক্ষা ও চিকিৎসা করা জরুরি, কারণ আবার সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
যদি চিকিৎসা না করা হয়: পুরুষদের ক্ষেত্রে: প্রোস্টেট গ্রন্থির সংক্রমণ, বন্ধ্যাত্ব। নারীদের ক্ষেত্রে: পিডিআইডি (Pelvic Inflammatory Disease), বন্ধ্যাত্ব, গর্ভাবস্থায় জটিলতা। চোখে সংক্রমণ হলে অন্ধত্ব পর্যন্ত হতে পারে (বিশেষ করে নবজাতকদের ক্ষেত্রে)। সংক্ষেপে: গনোরিয়া একটি নিরাময়যোগ্য রোগ, তবে দেরি করলে জটিলতা হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গনোরিয়া রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
গনোরিয়া রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা গনোরিয়া (Gonorrhea) হলো একটি যৌনবাহিত রোগ (STD) যা Neisseria gonorrhoeae নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি পুরুষ ও নারী উভয়েরই যৌনাঙ্গ, গলা, চোখ এবং রেকটামে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
গনোরিয়া একটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, এবং এর সঠিক চিকিৎসা অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া সম্ভব নয়। ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো শুধুমাত্র উপসর্গ কিছুটা উপশম করতে পারে, তবে রোগ সারাতে পারে না। ঘরোয়া পদ্ধতিতে উপসর্গ উপশমের উপায় (চিকিৎসার বিকল্প নয়): গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
রসুন (Garlic) রসুনে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ আছে। প্রতিদিন খালি পেটে ১–২ কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া যেতে পারে। দই (Yogurt) দইয়ে প্রোবায়োটিকস থাকে যা শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত দই খাওয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
হলুদ (Turmeric) হলুদের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া গরম দুধে মিশিয়ে খেতে পারেন দিনে ১–২ বার। পানি ও তরল খাবার পর্যাপ্ত পানি পান করলে ইউরিনেশন বেশি হয়, যা মূত্রনালির সংক্রমণ হ্রাসে সাহায্য করতে পারে।
নারিকেল তেল নারিকেল তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ উপসর্গ হ্রাসে কিছুটা সহায়তা করতে পারে। তবে শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারে সীমাবদ্ধ। যা করবেন না: নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। অন্যের ওষুধ খাওয়া বা গোপনে চিকিৎসা করা বিপজ্জনক হতে পারে।
অবহেলা করলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে বন্ধ্যাত্ব বা অন্যান্য জটিলতা তৈরি করতে পারে। করণীয়: চিকিৎসকের পরামর্শ নিন – অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন ceftriaxone বা azithromycin) প্রয়োজন হতে পারে। যৌন সম্পর্ক বন্ধ রাখুন চিকিৎসা না হওয়া পর্যন্ত। যৌন সঙ্গীকেও পরীক্ষা করান ও চিকিৎসা দিন।
লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল আপনাদের সাথে আলোচনা মুখ্য বিষয় ছিল গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় সাথে আরো আলোচনা করেছি গনোরিয়া রোগের টেস্ট পরিপূর্ণ বিবরণ সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে।
আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, এবং কোন কোন বিষয়গুলি আপনার ভালো লেগেছে আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষানীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন, আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রোকন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url