এপেন্ডিসাইটিস কেন হয় এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আর সঠিক তথ্য পেতে এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখতে আরো এপেন্ডিসাইটিস হলে করনীয় এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এপেন্ডিসাইটিস কেন হয় এপেন্ডিসাইটিস হলে করনীয় এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে নিচের আর্টিকেলগুলি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু বুঝতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
এপেন্ডিসাইটিস কেন হয়
এপেন্ডিসাইটিস কেন হয় এপেন্ডিসাইটিস (Appendicitis) হচ্ছে অ্যাপেনডিক্স নামক একটি ছোট আঙুলের মত অঙ্গের প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন। এটি পেটের ডান দিকের নিচের অংশে থাকে। এপেন্ডিসাইটিস তখনই হয় যখন অ্যাপেনডিক্স কোনো কারণে ব্লক বা অবরুদ্ধ হয়ে যায় এবং সেখানে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
এই অবরোধের কারণে সংক্রমণ ও ফোলাভাব সৃষ্টি হয়। এপেন্ডিসাইটিস কেন হয় – প্রধান কারণগুলো: অ্যাপেনডিক্সের মুখে অবরোধ (Obstruction): স্টুল (মল) জমে অ্যাপেনডিক্স ব্লক হয়ে যেতে পারে। ফুড পার্টিকল বা পরজীবী (parasites) ঢুকে পড়তে পারে। কোনো আঘাত বা টিউমারও ব্লক করতে পারে।
ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন: কোনো সংক্রমণের কারণে অ্যাপেনডিক্সে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে যা প্রদাহ সৃষ্টি করে। লিম্ফয়েড হাইপারপ্লাজিয়া: কোনো ভাইরাল সংক্রমণের কারণে অ্যাপেনডিক্সের লাইনিংয়ের লিম্ফয়েড টিস্যু ফুলে যায়, ফলে পথ আটকে যায়।
ঝুঁকিপূর্ণ কারণ বা রিস্ক ফ্যাক্টর: কম ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া বারবার পেটের ইনফেকশন হওয়া ১০-৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায় লক্ষণ: পেটের ডান নিচের দিকে তীব্র ব্যথা বমি বমি ভাব বা বমি ক্ষুধামন্দা জ্বর কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া এপেন্ডিসাইটিস সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ ফেটে গেলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।
এপেন্ডিসাইটিস হলে করনীয়
এপেন্ডিসাইটিস হলে করনীয় এপেন্ডিসাইটিস (Appendicitis) হলে তা একটি জরুরি চিকিৎসাজনিত অবস্থা, এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে করণীয় বিষয়গুলো ধাপে ধাপে দেওয়া হলো: লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিন সাধারণ লক্ষণসমূহ: পেটের নিচের ডান পাশে তীব্র ব্যথা।
বমি ভাব বা বমি জ্বর ক্ষুধামন্দা কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া পেট ফাঁপা করণীয়: ডাক্তার দেখান (অবিলম্বে): উপরের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যান বা একজন সার্জনের পরামর্শ নিন। অলসভাবে সময় নষ্ট করবেন না: এপেন্ডিক্স ফেটে গেলে মারাত্মক ইনফেকশন (Peritonitis) হতে পারে, যা জীবনঘাতী হতে পারে।
যা করবেন না ব্যথা কমাতে ওষুধ (painkiller) খেয়ে বসে থাকবেন না – এতে রোগ নির্ণয়ে দেরি হতে পারে। পেটের গরম সেঁক দেবেন না। খাবারে পরিবর্তন করে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। চিকিৎসা কীভাবে হয়? Appendectomy নামক একটি ছোট সার্জারির মাধ্যমে এপেন্ডিক্স কেটে ফেলে দেওয়া হয়।
এটি ল্যাপারোস্কোপিক (ছিদ্রপথে) বা ওপেন সার্জারি হতে পারে। সার্জারির পর সাধারণত কয়েকদিন বিশ্রাম দরকার হয়। জরুরি সতর্কতা: শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে লক্ষণ ভিন্ন হতে পারে এবং দ্রুত খারাপের দিকে যেতে পারে, তাই দেরি না করে হাসপাতালে যান।
এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন
এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন (Appendicitis Operation), যাকে সাধারণত অ্যাপেন্ডেকটমি (Appendectomy) বলা হয়, এটি একটি সার্জিকাল পদ্ধতি যার মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স (Appendix) নামক ছোট আঙ্গুল-আকৃতির অঙ্গটি শরীর থেকে অপসারণ করা হয়।
কেন অপারেশন প্রয়োজন হয়? অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে অ্যাপেন্ডিক্সে সংক্রমণ ও ফোলা দেখা দেয়, যা ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করে। এটি হলে পেটের মধ্যে ইনফেকশন ছড়াতে পারে (যাকে বলা হয় পেরিটোনাইটিস), যা জীবননাশকও হতে পারে। তাই দ্রুত অপারেশন করাই চিকিৎসার মূল উপায়।
অপারেশনের ধরন দুই ধরনের অপারেশন হয়: ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাপেন্ডেকটমি ছোট কয়েকটি ছিদ্র করে ক্যামেরা ও যন্ত্র ঢুকিয়ে অপারেশন করা হয় কম ব্যথা, কম কাটাছেঁড়া দ্রুত সুস্থ হওয়া যায় ওপেন অ্যাপেন্ডেকটমি পেট কেটে অ্যাপেন্ডিক্স সরানো হয় ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়লে বা জটিল পরিস্থিতিতে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়
অপারেশনের সময় ও পরবর্তী সময়কাল অপারেশন সাধারণত ৩০–৬০ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয় রোগীকে ১–৩ দিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে (জটিলতা না থাকলে) সম্পূর্ণ সুস্থ হতে ১–২ সপ্তাহ সময় লাগে (ল্যাপারোস্কোপিক হলে কম) অপারেশনের পর করণীয় বিশ্রাম নিতে হবে
ভারী কাজ/ওজন ওঠানো থেকে বিরত থাকতে হবে ক্ষত পরিষ্কার রাখতে হবে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ ও পরামর্শ মেনে চলা জরুরি ঝুঁকি ও জটিলতা (কমন নয়, তবে হতে পারে) ইনফেকশন রক্তক্ষরণ ফোলাভাব বা ব্যথা পেটের ভেতরে অ্যাবসেস।

মেয়েদের এপেন্ডিসাইটিস কোন পাশে হয়
মেয়েদের এপেন্ডিসাইটিস কোন পাশে হয় মেয়েদের (এবং ছেলেদেরও) এপেন্ডিসাইটিস সাধারণত পেটের ডান দিকে নিচের অংশে হয়, যেটাকে "right lower abdomen" বা "ডান নিচের পেট" বলা হয়। এই অংশে অ্যাপেন্ডিক্স (Appendix) নামক একটি ছোট টিউবের মতো অঙ্গ থাকে।
এটি সংক্রমিত বা ফোলা (inflamed) হয়ে গেলে তাকে এপেন্ডিসাইটিস বলা হয়। এপেন্ডিসাইটিসের সাধারণ লক্ষণ: ডান নিচের পেটে তীব্র ব্যথা (শুরুতে পেটের মাঝখানেও শুরু হতে পারে, পরে ডানে নেমে যায়) বমি বমি ভাব বা বমি ক্ষুধামান্দ্য (ক্ষুধা না লাগা) জ্বর কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
গুরুত্ব: এপেন্ডিসাইটিস একটি মেডিকেল জরুরি অবস্থা, কারণ অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যেতে পারে এবং তখন তা পেটের ভেতরে ইনফেকশন ছড়াতে পারে। তাই লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ছেলেদের এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ কি
ছেলেদের এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ কি ছেলেদের (বা যেকোনো লিঙ্গের মানুষের) এপেন্ডিসাইটিস (Appendicitis) হলে সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা যায়। নিচে ছেলেদের মধ্যে সাধারণত দেখা যাওয়া লক্ষণগুলো দেওয়া হলো: এপেন্ডিসাইটিসের প্রধান লক্ষণসমূহ:
পেটের ব্যথা শুরুতে পেটের মাঝখানে (নাভির আশেপাশে) ব্যথা হয় পরে ব্যথাটা ধীরে ধীরে পেটের ডান নিচের দিকে (right lower abdomen) সরে যায় ব্যথাটা স্থায়ী ও তীব্র হতে থাকে বমি ভাব বা বমি অনেক সময় ব্যথা শুরু হওয়ার পর বমি বা বমি ভাব দেখা দেয় ক্ষুধা কমে যাওয়া
সাধারণত ক্ষুধা একদম কমে যায় বা থাকে না জ্বর সাধারণত হালকা জ্বর (low-grade fever) হতে পারে সংক্রমণ বাড়লে তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে মলত্যাগ বা বায়ু ছাড়ায় সমস্যা কখনো কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়াও হতে পারে গ্যাস জমে থাকা অনুভূত হতে পারে চলাফেরায় সমস্যা হাঁটা, কাশলে বা চেপে ধরলে পেটের ডান নিচের দিকে ব্যথা বাড়ে
শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে: তারা ব্যথার অবস্থান স্পষ্টভাবে বলতে নাও পারে অস্বাভাবিক মেজাজ, খাওয়া-দাওয়ায় অনীহা, বমি, ও জ্বর হতে পারে কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে: যদি পেটের ডান নিচের দিকে তীব্র ব্যথা হয় জ্বর, বমি, খাওয়ায় অনীহা, ও অস্বস্তি বাড়ে ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বা হঠাৎ কমে যায় (এটি এপেন্ডিক্স ফেটে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে, যা খুব বিপজ্জনক)
অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে
অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে অ্যাপেন্ডিক্স (Appendicitis) এর ব্যথা সাধারণত তীব্র এবং সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে। নিচে ৭টি সাধারণ লক্ষণ দেওয়া হলো, যেগুলোর মাধ্যমে বোঝা যেতে পারে আপনার অ্যাপেন্ডিক্সে সমস্যা হচ্ছে কিনা:
অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথার ৭টি লক্ষণ: নাভির চারপাশে ব্যথা শুরু হওয়া: প্রথমে ব্যথা নাভির আশেপাশে অনুভূত হয়, তারপর ধীরে ধীরে ডান নিচের পেটে স্থানান্তরিত হয়। ডান নিচের পেটের তীব্র ব্যথা: পেটের ডান নিচের অংশে তীব্র, ধারালো ব্যথা হয়। এই ব্যথা হাঁটার সময় বা চাপ দিলে আরও বেড়ে যায়।
বমি বমি ভাব বা বমি: অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব, এমনকি বমি হতে পারে। খাবারে অরুচি: হঠাৎ করে খেতে ইচ্ছা না করা বা খাবারে অরুচি দেখা দেয়। জ্বর: হালকা জ্বর হতে পারে, যা ইনফেকশনের ইঙ্গিত দেয়। বাতাস বা মলত্যাগে অসুবিধা: গ্যাস বা পায়খানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
পেট ফোলাভাব বা গ্যাস জমে থাকা অনুভব করা: পেট ফুলে যাওয়া বা চাপ দিলে অস্বস্তি হতে পারে। এই লক্ষণগুলোর সবগুলো একসাথে নাও থাকতে পারে, তবে কয়েকটি লক্ষণ থাকলেও দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে গেলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে।
.jpg)
মেয়েদের এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ কি
মেয়েদের এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ কি মেয়েদের এপেন্ডিসাইটিস (Appendicitis) এর লক্ষণগুলো পুরুষদের মতোই হলেও, কিছু ক্ষেত্রে এটি নারীদেহের অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে মিল থাকতে পারে, যেমন: মাসিক চলাকালীন ব্যথা, ডিম্বাশয়ের সিস্ট বা ইনফেকশন। তাই নির্ভুলভাবে চিনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে মেয়েদের মধ্যে এপেন্ডিসাইটিসের সাধারণ লক্ষণগুলো দেওয়া হলো: মূল লক্ষণসমূহ: পেটের ডান দিকের নিচের অংশে ব্যথা – এটি সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। প্রথমে ব্যথা পেটের মাঝখানে শুরু হয়ে পরে ডানদিকে চলে যায়। ব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকে – সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা আরও তীব্র হয়।
বমি বমি ভাব বা বমি ক্ষুধামন্দা (ক্ষুধা না লাগা) জ্বর (সাধারণত হালকা) বমি বা বমির পরও ব্যথা না কমা পেট ফুলে যাওয়া বা গ্যাসের সমস্যা মলত্যাগ বা বাতাস রিলিজে সমস্যা মেয়েদের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর উপসর্গ: মাসিকের আগে বা সময়কালে ব্যথা ডিম্বাশয়ের সিস্ট বা ইনফেকশনজনিত ব্যথা মূত্র tract infection (UTI)
এই কারণে এপেন্ডিসাইটিস সন্দেহ হলে ডাক্তারি পরীক্ষা এবং আল্ট্রাসোনোগ্রাম (Ultrasound) বা সিটি স্ক্যান (CT scan) করানো জরুরি। কখন জরুরি চিকিৎসা নিতে হবে? ব্যথা সহ্য করার মতো না হলে জ্বর ও বমির সঙ্গে ডানপাশে তীব্র ব্যথা থাকলে ব্যথা ক্রমাগত বেড়ে গেলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না করালে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যেতে পারে, যা মারাত্মক ও প্রাণঘাতী হতে পারে।
এপেন্ডিসাইটিস এর ঔষধ
এপেন্ডিসাইটিস এর ঔষধ এপেন্ডিসাইটিস (Appendicitis) সাধারণত একটি জরুরি অবস্থা যা অ্যাপেন্ডিক্সে প্রদাহ হওয়ার কারণে হয়। এর চিকিৎসা প্রধানত সার্জিক্যাল (অপারেশন) মাধ্যমে করা হয় – যাকে অ্যাপেন্ডিকটমি (Appendectomy) বলে। তবে কিছু ক্ষেত্রে (বিশেষ করে যদি জটিলতা না থাকে),
চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারেন। এপেন্ডিসাইটিসের জন্য ব্যবহৃত সাধারণ ঔষধ: এই ওষুধগুলো শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করুন। অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics): ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সাধারণত দেওয়া হয়:
Ceftriaxone (IV) Metronidazole (IV বা মুখে) Piperacillin-Tazobactam (IV) – গুরুতর ক্ষেত্রে ব্যথানাশক (Painkillers): Paracetamol Tramadol (শক্তিশালী ব্যথার জন্য) চিকিৎসক প্রয়োজনে Opioids ব্যবহার করতে পারেন। IV Fluids: ডিহাইড্রেশন রোধ ও শরীরকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য স্যালাইন দেওয়া হয়।
কখন ঔষধে চিকিৎসা হয়? অ্যাপেন্ডিসাইটিস খুব প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে অপারেশনের উপযুক্ত না হলে (যেমন: গর্ভবতী, হৃদরোগী, খুব বয়স্ক) অপারেশন বিলম্ব হলে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, অপারেশনই স্থায়ী সমাধান। নিজে নিজে ঔষধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। ফেটে গেলে
(ruptured appendix), এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। অতএব, এপেন্ডিসাইটিসের উপসর্গ থাকলে দেরি না করে নিকটস্থ হাসপাতালের সার্জন বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
এপেনডিসাইড
এপেনডিসাইড এপেনডিসাইড (Appendicitis) হলো অ্যাপেন্ডিক্স (appendix) নামক একটি ছোট অঙ্গের প্রদাহ বা ফোলা। এটি পেটের নিচের ডানদিকে থাকে। অ্যাপেনডিসাইড হলে এটি ব্যথা, ফোলা এবং সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এপেনডিসাইডের উপসর্গসমূহ: পেটের নিচের ডান পাশে তীব্র ব্যথা
বমি বমি ভাব বা বমি ক্ষুধামান্দ্য (ক্ষুধা না লাগা) জ্বর কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া পেট ফোলা বিপদজনক কেন? এপেন্ডিক্স ফেটে গেলে শরীরের অভ্যন্তরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে (যাকে বলে পারিটোনাইটিস), যা জীবন-ঝুঁকির কারণ হতে পারে। চিকিৎসা: সাধারণত অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ (appendectomy) করাই সবচেয়ে নিরাপদ চিকিৎসা।
অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হতে পারে প্রাথমিকভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে। কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? উপরের উপসর্গগুলোর যে কোনো একটি থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। বিশেষ করে যদি ব্যথা তীব্র হয় এবং বাড়তে থাকে।
লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল আপনাদের সাথে আলোচনা মুখ্য বিষয় ছিল এপেন্ডিসাইটিস কেন হয় সাথে আরো আলোচনা করেছি এপেন্ডিসাইটিস হলে করনীয় পরিপূর্ণ বিবরণ সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে।
আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, এবং কোন কোন বিষয়গুলি আপনার ভালো লেগেছে আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষানীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন, আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রোকন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url