পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট হয় এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আর সঠিক তথ্য পেতে এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখতে আরো সহবাসের কতদিন পর বমি হয় এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট হয় সহবাসের কতদিন পর বমি হয় এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে নিচের আর্টিকেলগুলি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু বুঝতে পারবেন।
পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট হয় একজন নারী সাধারণত পিরিয়ডের পর ওভুলেশন (ডিম্বাণু নির্গমন) এর সময় সবচেয়ে বেশি প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনায় থাকেন। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো: পিরিয়ডের পর কতদিনে প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
একটি নিয়মিত ২৮ দিনের মাসিক চক্র অনুযায়ী, ওভুলেশন সাধারণত ১৪তম দিনে ঘটে (পিরিয়ড শুরু হওয়ার দিন থেকে গণনা করে)। ডিম্বাণু ওভুলেশনের পর প্রায় ১২–২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকে এবং শুক্রাণু নারীর শরীরে প্রায় ৫ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনাময় দিন (Fertile Window): সাধারণভাবে, পিরিয়ড শুরু হওয়ার ১০ থেকে ১৬তম দিনের মধ্যে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। অর্থাৎ, পিরিয়ড শেষ হওয়ার প্রায় ৪–৫ দিন পর থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েকদিন পর্যন্ত গর্ভধারণের ঝুঁকি বা সম্ভাবনা বেশি।
যদি কারও পিরিয়ড ৫ দিন স্থায়ী হয় এবং চক্রটি ২৮ দিনের হয়, তাহলে ওভুলেশন হবে প্রায় ১৪তম দিনে, পিরিয়ড শেষ হওয়ার ৯ দিন পর, কিন্তু শুক্রাণু আগে থেকেই শরীরে থাকতে পারে, তাই পিরিয়ড শেষ হওয়ার ৪–৫ দিন পর থেকেই গর্ভধারণ সম্ভব। কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি:
সব নারীর চক্র সমান নয় — ২৬ দিন, 30 দিন, এমনকি অনিয়মিত চক্রও হতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণ না করলে যেকোনো সময় প্রেগন্যান্সি হতে পারে, এমনকি চক্র অনিয়মিত হলেও।
সহবাসের কতদিন পর বমি হয়
সহবাসের কতদিন পর বমি হয় সহবাসের (যৌন মিলনের) পরে যদি গর্ভধারণ ঘটে, তাহলে প্রাথমিক গর্ভাবস্থার উপসর্গ হিসেবে বমি বা বমিভাব (মর্নিং সিকনেস) সাধারণত শুরু হয় সহবাসের ২ থেকে ৮ সপ্তাহ পর। গর্ভধারণের ৬ থেকে ১২ দিন পর নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে সংযুক্ত হয় (ইমপ্ল্যানটেশন)।
এর কিছুদিন পর শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অনেক নারী ৪ থেকে ৬ সপ্তাহে (মানে সহবাসের প্রায় ২–৪ সপ্তাহ পর) বমিভাব বা বমি অনুভব করতে পারেন। তবে এটি সব নারীর ক্ষেত্রে হয় না—কেউ কেউ গর্ভাবস্থায় বমিই করেন না, আবার কারও ক্ষেত্রে এটি শুরু হতে সময় লাগে।
যদি সহবাসের পর বমি হয়: সেটা সবসময় গর্ভধারণের লক্ষণ নয়। এটি হতে পারে— খাদ্যে অস্বস্তি স্ট্রেস হরমোনাল পরিবর্তন অন্য কোনো অসুস্থতা নিশ্চিত হতে চাইলে: সহবাসের ১৪ দিন পর (বা পিরিয়ড মিসের পর) গর্ভধারণ টেস্ট (প্রেগন্যান্সি টেস্ট) করা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়। পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট হয়।
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় মাসিক মিস হওয়ার কয়েকদিন পরই প্রেগন্যান্সি বোঝার জন্য কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে এবং নির্ভরযোগ্যভাবে পরীক্ষা করার জন্য কিছু উপায় রয়েছে। নিচে বিস্তারিত দিলাম: মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর বোঝা যায়: পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট হয়।
সাধারণত মাসিক মিস হওয়ার ৭-১০ দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট (হোম প্রেগন্যান্সি কিট দিয়ে) করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য ফল পাওয়া যায়। কিছু প্রেগন্যান্সি কিট মাসিক মিস হওয়ার ১ম দিনেই হরমোন (hCG) ধরে ফেলতে পারে, তবে ৭ দিন পরে করলে ফলাফল আরও নিশ্চিত হয়।
লক্ষণ যা দেখা যেতে পারে: মাসিক বন্ধ হওয়া বমি বা বমি বমি ভাব (morning sickness) স্তন ফুলে যাওয়া বা ব্যথা অতিরিক্ত ক্লান্তি ঘন ঘন প্রস্রাব হালকা রক্তপাত বা স্রাব (implantation bleeding) পরীক্ষা কীভাবে করবেন: হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট (HPT): সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম প্রস্রাব দিয়ে করলে hCG হরমোন সবচেয়ে স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।
রক্ত পরীক্ষা (Beta hCG test): এটি ল্যাবরেটরিতে হয় এবং আরও সুনির্দিষ্ট। ডাক্তারের পরামর্শ: যদি হোম টেস্টে পজিটিভ আসে, তাহলে ডাক্তার দেখিয়ে আল্ট্রাসাউন্ড ও অন্যান্য পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হওয়া ভালো। মাসিক মিস হওয়ার ৭ দিন পরে হোম টেস্ট করলে প্রেগন্যান্সি বোঝা যায়। তবে কেউ কেউ এর আগে থেকেই উপসর্গ অনুভব করতে পারেন।
ওভুলেশনের কতদিন পর ইমপ্লান্টেশন হয়
ওভুলেশনের কতদিন পর ইমপ্লান্টেশন হয় ওভুলেশনের (ovulation) পর সাধারণত ইমপ্লান্টেশন (implantation) হয় ৬ থেকে ১০ দিনের মধ্যে, তবে সবচেয়ে সাধারণ সময় হলো ওভুলেশনের ৮ বা ৯ দিন পর। ওভুলেশন: ডিম্বাণু (egg) মুক্তি পায় ডিম্বাশয় থেকে।
ফার্টিলাইজেশন: যদি এই সময় পুরুষের শুক্রাণুর সঙ্গে ডিম্বাণুর মিলন ঘটে, তাহলে নিষিক্ত ডিম্বাণু (fertilized egg বা zygote) তৈরি হয়। ইমপ্লান্টেশন: এই নিষিক্ত ডিম্বাণু গর্ভাশয়ে (uterus) পৌঁছে গিয়ে সেখানকার দেয়ালে নিজেকে স্থাপন করে — এটিই ইমপ্লান্টেশন। টাইমলাইন উদাহরণ:
ওভুলেশন: দিন ১৪ (যদি ২৮ দিনের নিয়মিত সাইকেল ধরা হয়) ইমপ্লান্টেশন: দিন ২০–২৪ এর মধ্যে লক্ষণসমূহ (সব নারীর ক্ষেত্রে হয় না): হালকা রক্তপাত বা দাগ (implantation bleeding) সামান্য পেটব্যথা বা ক্র্যাম্প স্তনে সংবেদনশীলতা হালকা ক্লান্তি পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট হয়।
যদি আপনি গর্ভধারণ নিয়ে চিন্তা করছেন, তাহলে ওভুলেশনের ৭–১০ দিন পর থেকে হালকা উপসর্গ দেখা যেতে পারে, এবং ইমপ্লান্টেশনের ১–২ দিন পর থেকে প্রেগনেন্সি টেস্টে হরমোন (hCG) ধরা পড়তে শুরু করে।
কি করলে বাচ্চা হয়
কি করলে বাচ্চা হয় বাচ্চা হওয়ার জন্য পুরুষ ও নারীর যৌনমিলনের মাধ্যমে নারী গর্ভধারণ করেন। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো: যৌনমিলন ও নিষিক্তকরণ (Fertilization): যখন একজন পুরুষ ও নারী যৌনমিলন করেন, তখন পুরুষের বীর্যের মধ্যে থাকা শুক্রাণু নারীর ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হতে পারে।
এটি সাধারণত নারীর মাসিক চক্রের ডিম্বস্রাব (ovulation) সময় ঘটে, অর্থাৎ যখন ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে বের হয় এবং গর্ভাশয়ে আসতে থাকে। গর্ভধারণ (Pregnancy): যদি শুক্রাণু একটি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে (fertilize করে), তাহলে সেই নিষিক্ত ডিম্বাণুটি জরায়ুতে গিয়ে প্রতিস্থাপিত হয় এবং একটি ভ্রূণ (embryo) তৈরি হয়।
এরপর এটি গর্ভে বেড়ে উঠে শিশুর রূপ নেয়। গর্ভকালীন সময় (Gestation): গর্ভধারণ সাধারণত ৯ মাস (৪০ সপ্তাহ) স্থায়ী হয়, যার শেষে সন্তান জন্ম নেয়। কী করলে বাচ্চা হবে? (সংক্ষেপে) নিয়মিত স্বাভাবিক যৌনমিলন (বিশেষ করে ডিম্বস্রাবের সময়) স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন (সুষম খাবার, মানসিক চাপ কমানো) উর্বরতার সময় নির্ধারণ করে মিলন করা।
কোনো সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া (যেমন: বন্ধ্যত্ব, হরমোনজনিত সমস্যা) আপনি যদি জানতে চান কোন পদ্ধতিতে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি বা কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসার প্রয়োজন, আমি সেটা নিয়েও বিস্তারিত বলতে পারি। পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট হয়।
গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়
গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় গর্ভবতী হওয়ার পর সাধারণত প্রথম লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া। একটি স্বাভাবিক মাসিক চক্র অনুযায়ী: গর্ভধারণ সাধারাণত ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর ঘটে, যা সাধারাণত মাসিক শুরুর প্রায় ১৪ দিন আগে হয় (Ovulation day)।
গর্ভধারণ হলে, শরীরে হরমোন পরিবর্তনের কারণে পরবর্তী মাসিক আর হয় না। অর্থাৎ, গর্ভবতী হওয়ার পর প্রথম মাসিকই বন্ধ হয়ে যায়। সরলভাবে বললে: গর্ভধারণের ১ থেকে ২ সপ্তাহ পর (ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর) মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। তবে আপনি সেটা টের পান সাধারণত তখনই, যখন আপনার প্রত্যাশিত মাসিক তারিখে মাসিক না হয়।
যদি আপনি সন্দেহ করেন আপনি গর্ভবতী কিনা: মাসিক না হলে প্রথম দিন থেকেই গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। প্রথম মাসিক মিস করার দিন থেকে গর্ভধারণ পরীক্ষা (pregnancy test) করা যেতে পারে। পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট হয়।
মাসিকের কত দিন পর ডিম্বস্ফোটন হয়
মাসিকের কত দিন পর ডিম্বস্ফোটন হয় ডিম্বস্ফোটন (Ovulation) সাধারণত মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে ঘটে। একটি স্বাভাবিক মাসিক চক্র যদি ২৮ দিনের হয়, তাহলে ডিম্বস্ফোটন সাধারণত চক্রের ১৪তম দিনে ঘটে (পরবর্তী মাসিক শুরুর আনুমানিক ১৪ দিন আগে)। তবে এটি নারীর শরীর এবং চক্রের দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
একটি সাধারণ ধারণা দেওয়া হলো: মাসিক চক্র ২৮ দিন হলে: ডিম্বস্ফোটন সাধারণত ১৪তম দিনে মাসিক চক্র ৩০ দিন হলে: ডিম্বস্ফোটন সাধারণত ১৬তম দিনে মাসিক চক্র ২৬ দিন হলে: ডিম্বস্ফোটন সাধারণত ১২তম দিনে কীভাবে হিসেব করবেন: ডিম্বস্ফোটন সাধারণত পরবর্তী মাসিক শুরুর ১৪ দিন আগে ঘটে। পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট হয়।
তাই আপনার চক্র যদি অনিয়মিত না হয়, তাহলে আপনি আপনার চক্রের দৈর্ঘ্য থেকে ১৪ বিয়োগ করে আনুমানিক ডিম্বস্ফোটনের দিন জানতে পারবেন। লক্ষণ দিয়ে ডিম্বস্ফোটন বোঝা যেতে পারে: ঘাড়ে বা তলপেটে হালকা ব্যথা ডিমের সাদা অংশের মতো পাতলা ও প্রসারযোগ্য স্রাব যৌন আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া স্তনে হালকা ব্যথা বা সংবেদনশীলতা।
সেফ পিরিয়ড ক্যালকুলেটর
সেফ পিরিয়ড ক্যালকুলেটর "সেফ পিরিয়ড ক্যালকুলেটর" বা "Safe Period Calculator" হল এমন একটি টুল যা একজন নারীর ঋতুচক্র (menstrual cycle) অনুযায়ী গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম এমন দিনগুলো নির্ণয় করতে সাহায্য করে। এই পদ্ধতিটি সাধারণত ক্যালেন্ডার মেথড (Calendar Method) বা রিদম মেথড (Rhythm Method) নামে পরিচিত।
কিভাবে সেফ পিরিয়ড নির্ণয় করবেন: সাধারণভাবে, একজন নারীর ঋতুচক্র যদি নিয়মিত হয় (প্রতি মাসে ২৬-৩২ দিনের মধ্যে হয়), তাহলে: ওভুলেশন (ডিম ছাড়ার) সময় হয় সাধারণত পরবর্তী পিরিয়ডের ১৪ দিন আগে। গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে ওভুলেশনের দিন এবং তার আগে ও পরে কয়েকদিন, অর্থাৎ চক্রের ১০ম দিন থেকে ১৭তম দিন পর্যন্ত (যদি ২৮ দিনের চক্র হয়)।
তাই, সেফ পিরিয়ড হচ্ছে: পিরিয়ড শুরু হওয়ার ১ম দিন থেকে ৮ম দিন পর্যন্ত এবং ২০তম দিন থেকে পরবর্তী পিরিয়ড শুরু হওয়া পর্যন্ত একটি সাধারণ ক্যালকুলেশন আপনার পিরিয়ড শুরু হয়েছে: ১লা মে আপনার চক্রের দৈর্ঘ্য: ২৮ দিন তাহলে: ফার্টাইল পিরিয়ড (বাচ্চা ধারণের সম্ভাবনাযুক্ত সময়): ১০ মে থেকে ১৭ মে সেফ পিরিয়ড: ১ মে থেকে ৯ মে এবং ১৮ মে থেকে ২৮ মে
নিরাপদ সম্পর্কের জন্য কিছু বিষয়: এই পদ্ধতি ১০০% নির্ভরযোগ্য নয়। শরীরের হরমোন পরিবর্তনের কারণে সময় হেরফের হতে পারে। যদি আপনি গর্ভধারণ একেবারেই না চান, তাহলে সেফ পিরিয়ড ছাড়াও অন্য কোনো কনট্রাসেপটিভ (নিরাপদ গর্ভনিরোধক) পদ্ধতি ব্যবহার করা ভালো। অনিয়মিত পিরিয়ড হলে এই পদ্ধতি কার্যকর নাও হতে পারে। পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট হয়।
মিলনের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়
মিলনের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় মিলনের (সহবাসের) পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সঠিক সময় নির্ভর করে হরমোনের মাত্রার উপর, যা শরীরে গর্ভধারণ হলে বৃদ্ধি পায়। সাধারণভাবে নিচের নিয়মটি অনুসরণ করা হয়:
প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সময়: সাধারণ নিয়ম: সহবাসের ২১ দিন পর (প্রায় ৩ সপ্তাহ) বা পরবর্তী পিরিয়ড মিস করার প্রথম দিনেই টেস্ট করতে পারেন। যদি আপনার মাসিক নিয়মিত হয়, তাহলে পিরিয়ড মিস করার দিন থেকেই হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যায়। যদি আপনার মাসিক অনিয়মিত হয়, তাহলে সহবাসের ২১ দিন পরে টেস্ট করাই নিরাপদ।
কেন এই সময় লাগে? হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট ইউরিনে HCG (Human Chorionic Gonadotropin) হরমোন শনাক্ত করে, যা নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে স্থাপন হওয়ার পর উৎপন্ন হয়। সাধারণত, এই হরমোন যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি হতে ৬-১৪ দিন সময় লাগে। আরও নির্ভুল ফল পাওয়ার জন্য।
সকালে প্রথম ইউরিন ব্যবহার করুন (এতে HCG এর ঘনত্ব বেশি থাকে)। নেগেটিভ ফল পেলে এবং সন্দেহ থাকলে ২-৩ দিন পর আবার পরীক্ষা করুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট হয়।
লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল আপনাদের সাথে আলোচনা মুখ্য বিষয় ছিল পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট হয় সাথে আরো আলোচনা করেছি সহবাসের কতদিন পর বমি হয় পরিপূর্ণ বিবরণ সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে।
আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, এবং কোন কোন বিষয়গুলি আপনার ভালো লেগেছে আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষানীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন, আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রোকন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url