*/
OrdinaryITPostAd

বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন হাড়ের ব্যাথার ঔষধ

বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আর সঠিক তথ্য পেতে এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখতে আরো বুকের হাড়ের ব্যাথার ঔষধ এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন বুকের হাড়ের ব্যাথার ঔষধ এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে নিচের আর্টিকেলগুলি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু বুঝতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন

বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন বুকের বাম পাশ বা বাম পাঁজরে ব্যথার কারণ অনেক রকম হতে পারে। এটি হালকা ও সাময়িক অসুবিধা থেকে শুরু করে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে। নিচে কিছু সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা হলো:

হার্ট-সম্পর্কিত কারণ হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack): বাম বুকের ব্যথা, চাপ বা জ্বালাভাব, যা কাঁধ, বাহু, ঘাড় বা চোয়ালে ছড়াতে পারে। অ্যাঞ্জাইনা (Angina): হার্টে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে এই ব্যথা হয়। হাঁটা বা পরিশ্রমে বাড়ে, বিশ্রামে কমে। পেরিকার্ডাইটিস (Pericarditis): হার্টের আশেপাশের ঝিল্লির প্রদাহ, যা শ্বাস নিতে গেলে বা শুয়ে গেলে বাড়তে পারে।

পাঁজরের বা হাড়ের সমস্যা কোস্টোকন্ড্রাইটিস (Costochondritis): পাঁজরের সাথে সংযুক্ত তরুণাস্থির প্রদাহ। চাপ দিলে ব্যথা বেড়ে যায়। রিব ফ্র্যাকচার: আঘাতজনিত পাঁজরের হাড় ভেঙে গেলে তীব্র ব্যথা হয়। ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা প্লুরিসি (Pleurisy): ফুসফুসের আশেপাশের ঝিল্লির প্রদাহ, শ্বাস নিতে গেলে ব্যথা হয়।

নিউমোনিয়া বা ইনফেকশন: ফুসফুসে সংক্রমণ হলে বাম পাশে ব্যথা ও কাশি হতে পারে। পাকস্থলী বা হজমতন্ত্রজনিত সমস্যা গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স: বুকজ্বালা, ঢেঁকুরের সাথে ব্যথা হতে পারে। পেপটিক আলসার: পাকস্থলীর ক্ষতের কারণে ব্যথা হয়, যা বুক পর্যন্ত অনুভূত হতে পারে।

পেশি বা নার্ভজনিত সমস্যা মাসল স্ট্রেইন: ভারী কাজ বা ব্যায়ামের ফলে পাঁজরের পেশিতে টান লাগলে ব্যথা হতে পারে। নাভর পিঞ্চ বা নার্ভ ইরিটেশন: তীক্ষ্ণ ব্যথা অনুভব হতে পারে। কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি? হঠাৎ শুরু হওয়া তীব্র ব্যথা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া বুক ধড়ফড় করা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ব্যথার সাথে বমি, 

ঘাম, বা কাঁধ/বাহুতে ব্যথা থাকা আপনার উপসর্গগুলো যদি গুরুতর হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তার (বিশেষ করে হৃদরোগ, বক্ষব্যাধি বা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ) এর সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

বুকের হাড়ের ব্যাথার ঔষধ

বুকের হাড়ের ব্যাথার ঔষধ বুকের হাড় বা বুকের মাঝখানে ব্যথা হওয়ার কারণ বিভিন্ন হতে পারে, যেমন: কস্টোকন্ড্রাইটিস (Costochondritis) – বুকের হাড় ও কার্টিলেজের সংযোগস্থলে প্রদাহ গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা পেশীর টান বা আঘাত হার্টের সমস্যা (যদি ব্যথা বাম পাশে বা ব্যথার সঙ্গে ঘাম, শ্বাসকষ্ট থাকে) ফুসফুসের সমস্যা (যেমন প্লুরিসি)

তবে আপনি যদি কস্টোকন্ড্রাইটিস বা হালকা পেশীর ব্যথার জন্য ঔষধ চান, নিচের কিছু সাধারণ ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে (ডাক্তার পরামর্শে): সাধারণ ব্যথানাশক ও প্রদাহনাশক ওষুধ: Paracetamol (প্যারাসিটামল) – হালকা ব্যথার জন্য Ibuprofen (ইবুপ্রোফেন) – ব্যথা ও প্রদাহ দুটোতেই কাজ করে

Naproxen / Diclofenac – শক্তিশালী প্রদাহনাশক, কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে সাবধানে নিতে হয় PPI (যেমন Omeprazole, Esomeprazole) – যদি গ্যাস্ট্রিকজনিত কারণে ব্যথা হয় প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া পদ্ধতি: গরম পানির সেঁক হালকা ম্যাসাজ অতিরিক্ত কাজ বা ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলা

সতর্কতা: যদি ব্যথার সঙ্গে নিচের উপসর্গ থাকে, তবে দেরি না করে ডাক্তার দেখান: শ্বাস নিতে কষ্ট বাম হাতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া হঠাৎ প্রচণ্ড ব্যথা ঘাম বা বমি ভাব। বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন

বুকের বাম পাশে পাঁজরের নিচে ব্যথা

বুকের বাম পাশে পাঁজরের নিচে ব্যথা বুকের বাম পাশে পাঁজরের নিচে ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি অস্থায়ী ও নিরীহ হতে পারে, আবার কখনো কখনো গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলো:

সম্ভাব্য কারণসমূহ: পেশির টান বা আঘাত: ভারী কাজ, হাঁচি-কাশি, বা ভুল ভঙ্গিতে ঘুমালে পাঁজরের নিচের পেশিতে ব্যথা হতে পারে। পাঁজরের হাড়ে আঘাত বা ফাটল: দুর্ঘটনা বা চাপের কারণে হাড়ে সমস্যা হলে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স: পেটের গ্যাস বা এসিড বুকের বাম পাশে ব্যথার অনুভূতি দিতে পারে।

প্লুরাইটিস (ফুসফুসের পর্দার প্রদাহ): শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং ব্যথা বাড়ে। হার্টের সমস্যা (যেমন এনজাইনা বা হার্ট অ্যাটাক): বিশেষ করে যদি ব্যথা চাপ অনুভূতির মতো হয়, বাম হাত, গলা বা পিঠে ছড়িয়ে পড়ে, ও সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, ঘাম বা বমির অনুভূতি থাকে। কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি:

ব্যথা খুব তীব্র হয় বা হঠাৎ শুরু হয় বাম হাতে ছড়িয়ে পড়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বুকে চাপ বা জ্বালাপোড়া অনুভব হয় মাথা ঘোরানো বা দুর্বলতা হয় ব্যথা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে বা ধীরে ধীরে বাড়ছে আপনি কী করতে পারেন: গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে অম্লনাশক (অ্যান্টাসিড) নিতে পারেন। বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন

হালকা গরম সেঁক দিতে পারেন যদি পেশির ব্যথা হয় বলে মনে হয় বিশ্রাম নিন ও ভারী কাজ এড়িয়ে চলুন পর্যাপ্ত পানি পান করুন তবে, ব্যথা যদি বারবার হয় বা উপরের যেকোনো গুরুতর উপসর্গ থাকে, অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন বা নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান। আপনার নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

বুকের ডান পাশে ব্যথার কারণ কি

বুকের ডান পাশে ব্যথার কারণ কি বুকের ডান পাশে ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে। এটি সাধারণত গুরুতর না হলেও, কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। নিচে কিছু সম্ভাব্য কারণ দেওয়া হলো:

পেশির টান বা আঘাত: ভারী কিছু তোলা বা ভুলভাবে বসে থাকলে পেশিতে টান লাগতে পারে। কাঁধ বা বুকের পেশি টানেও ডান পাশে ব্যথা হতে পারে। পাঁজরের সমস্যা: পাঁজরের হাড়ে ফাটল বা আঘাত থাকলে ব্যথা হয়। কস্টোকনড্রাইটিস (Cartilage inflammation) – এটি হাড় ও কার্টিলেজের সংযোগস্থলে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

পাঁজরের নিচের অঙ্গগুলোর সমস্যা: লিভার সমস্যা: যেমন ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস ইত্যাদি। গলব্লাডার সমস্যা: গলস্টোন বা ইনফ্লামেশন থাকলে ডান পাশে ব্যথা হতে পারে। ফুসফুস সংক্রান্ত কারণ: প্লুরিসি (Pleurisy): ফুসফুসের আশেপাশের আবরণে সংক্রমণ বা প্রদাহ হলে ব্যথা হয়।

নিউমোনিয়া বা সংক্রমণ: ডান ফুসফুসে ইনফেকশন থাকলে ব্যথা হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স: মাঝে মাঝে বুকের ডান পাশে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হতে পারে। আত্মিক চাপ বা অ্যাংজাইটি: মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকেও বুকের যেকোনো পাশে ব্যথা অনুভব হতে পারে।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি: ব্যথা যদি তীব্র হয় বা সময়ের সঙ্গে বাড়ে। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বুক ধড়ফড় করে বা মাথা ঘোরায়। জ্বর, কাশি বা কফে রক্ত দেখা যায়। বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন

বুকের মাংসপেশী জনিত ব্যাথা

বুকের মাংসপেশী জনিত ব্যাথা বুকের মাংসপেশীজনিত ব্যথা (musculoskeletal chest pain) বলতে এমন এক ধরণের ব্যথাকে বোঝায় যা মূলত বুকের মাংসপেশী, হাড় বা সংযুক্ত টিস্যু থেকে উৎপন্ন হয়, এবং এটি হৃদযন্ত্র-সম্পর্কিত ব্যথার (যেমন হার্ট অ্যাটাক) মতো হলেও তার উৎস ভিন্ন।

লক্ষণসমূহ: ব্যথা স্পষ্ট কোনো স্থানে অনুভূত হয় (স্থানীয়) নড়াচড়া করলে বা বুক চাপলে ব্যথা বাড়ে গভীরভাবে শ্বাস নিলে ব্যথা তীব্র হয় ব্যথা পিঠ, কাঁধ বা বাহুতে ছড়ায় না (সাধারণত) শারীরিক পরিশ্রমে ব্যথা বাড়ে না (যদি এটি হৃৎপিণ্ডজনিত না হয়) বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন।

সাধারণ কারণসমূহ: মাংসপেশীর টান বা ইনজুরি – ভারি কিছু তোলা, খারাপ ভঙ্গিতে ঘুমানো বা ব্যায়াম করার ফলে। কস্টোকন্ড্রাইটিস – বুকের হাড় ও করস্টাল কার্টিলেজে প্রদাহ। পাঁজরের ইনজুরি বা ফ্র্যাকচার। Fibromyalgia বা অন্য ব্যথাজনিত মাংসপেশী রোগ।

চিকিৎসা ও পরামর্শ: পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেইন কিলার ওষুধ (যেমন প্যারাসিটামল বা ইবুপ্রোফেন) গরম সেঁক হালকা স্ট্রেচিং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য উপসর্গ (যেমন শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, বমি) থাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন যদি: ব্যথা খুব তীব্র হয় শ্বাসকষ্ট হয় ব্যথা হাতে, ঘাড়ে বা চোয়ালে ছড়ায় ঘাম, বমি বা মাথা ঘোরা হয়

বুকের বাম পাশে ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়

বুকের বাম পাশে ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় বুকের বাম পাশে ব্যথা হলে প্রথমে এটি কী কারণে হয়েছে তা বোঝা জরুরি। কারণ এটি কখনো কখনো হৃদরোগের লক্ষণও হতে পারে। তবে যদি ব্যথা হালকা হয় এবং আপনি নিশ্চিত হন যে এটি গ্যাস, পেশির টান, অ্যাসিডিটি বা স্ট্রেসের কারণে হয়েছে, 

তাহলে কিছু ঘরোয়া উপায়ে উপশম পাওয়া যেতে পারে। বুকের বাম পাশের ব্যথা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়: আদা চা আদা পেটের গ্যাস ও অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। গরম পানিতে আদা ফুটিয়ে তা পান করলে পেটে হালকা লাগবে এবং ব্যথা উপশম হতে পারে। বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন

গরম পানির প্যাড / গরম সেঁক পেশির টান বা ব্যথার ক্ষেত্রে গরম সেঁক ভালো কাজ করে। একটি হট ওয়াটার ব্যাগ বা গরম তোয়ালে ব্যথার জায়গায় লাগাতে পারেন। তুলসী ও মধু তুলসী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। ৫-৬টি তুলসী পাতা ফুটিয়ে তার সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যায়।

সোজা হয়ে বসা বা শোয়া ভুল ভঙ্গিমায় বসা বা শোয়ার কারণে বুকের ব্যথা হতে পারে। সঠিক ভঙ্গিমায় বিশ্রাম নিলে ব্যথা কমে। গভীর শ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তার কারণে বুকে ব্যথা হলে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। জিরা ও গরম পানি জিরা হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস কমায়। 

১ চা চামচ জিরা গরম পানিতে ফুটিয়ে খেলে গ্যাসজনিত ব্যথা কমে যেতে পারে। কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি? যদি নিচের কোনো উপসর্গ থাকে, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন: ব্যথা বুক থেকে বাহু, ঘাড় বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় অতিরিক্ত ঘাম হয় বমি বমি ভাব বা মাথা ঘোরে ব্যথা ১৫-২০ মিনিটের বেশি থাকে

বুকের মাঝখানে ব্যথার কারণ কি

বুকের মাঝখানে ব্যথার কারণ কি বুকের মাঝখানে ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে। এটি হালকা বা গুরুতর কোন শারীরিক সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ এবং গুরুতর কারণ দেওয়া হলো:

সাধারণ কারণসমূহ: গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি (Acid reflux/GERD): পাকস্থলীর অ্যাসিড উপরের দিকে উঠে এসে বুকের মাঝখানে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা সৃষ্টি করে। মাংসপেশির টান বা ইনজুরি (Muscle strain): ভারী কিছু তোলা বা অনিয়মিত চলাফেরা করলে বুকের পেশিতে টান পড়তে পারে।

মানসিক চাপ বা উদ্বেগ (Anxiety or Panic Attack): এতে বুক ধড়ফড় করা, ব্যথা, শ্বাসকষ্টের অনুভূতি হতে পারে। গ্যাস্ট্রাইটিস বা পেপটিক আলসার: পাকস্থলীর সমস্যা থেকেও মাঝেমাঝে বুকের মাঝখানে ব্যথা হতে পারে। গুরুতর কারণসমূহ (যেগুলো তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা দরকার):

হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack): বুকের মাঝখানে চাপধর ব্যথা হয়, যা কাঁধ, হাত, ঘাড় বা পিঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাথে শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বমিভাব হতে পারে। অ্যাঞ্জাইনা (Angina): হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হলে ব্যথা হতে পারে। এটি ব্যায়াম বা চাপের সময় বাড়ে এবং বিশ্রামে কমে।

পেরিকার্ডাইটিস (Pericarditis): হৃদপিণ্ডের চারপাশের আবরণে প্রদাহ হলে তীব্র ব্যথা হয়, যা শ্বাস নেওয়ার সময় বাড়তে পারে। পালমোনারি এম্বোলিজম (Pulmonary Embolism): ফুসফুসে রক্তজমাট বাঁধলে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও দুর্বলতা হতে পারে। বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন

আপনার করণীয়: যদি ব্যথা তীব্র হয়, ছড়িয়ে পড়ে, ঘাম বা বমিভাব থাকে — অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান বা হাসপাতালে যান। যদি ব্যথা হালকা হয় ও গ্যাস্ট্রিক জাতীয় মনে হয়, তবে অ্যান্টাসিড বা হালকা খাবার খেয়ে দেখতে পারেন। তবুও ডাক্তার দেখানো উচিত।

বুকের বাম পাশে নিচে ব্যথার কারণ

বুকের বাম পাশে নিচে ব্যথার কারণ বুকের বাম পাশে নিচে ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে। এটি কখনো গুরুতর হতে পারে, আবার কখনো সাধারণ কারণে হতে পারে। নিচে কিছু সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা হলো:

হার্ট-সংক্রান্ত সমস্যা অ্যাংজাইনা (Angina): হার্টে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে ব্যথা হতে পারে। এটি চাপ বা ভারী ভাবের মতো অনুভব হয়। হার্ট অ্যাটাক: তীব্র ব্যথা, ঘাম, শ্বাসকষ্ট, বমি ভাব থাকতে পারে। এটি একটি জরুরি অবস্থা। পেশী বা হাড়-সংক্রান্ত কারণ মাংসপেশির টান (Muscle strain): ভারী কাজ, ব্যায়াম, বা খারাপ ভঙ্গিতে ঘুমানোর ফলে হতে পারে।

কোস্টোকন্ড্রাইটিস (Costochondritis): বুকের হাড়ের সংযোগস্থলে প্রদাহ হলে ব্যথা হয়, চাপ দিলে ব্যথা বাড়ে। পাকস্থলী বা পাচনতন্ত্রের সমস্যা গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি: বুকের নিচে বা মাঝখানে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হতে পারে। আলসার: দীর্ঘ সময় ধরে গ্যাস্ট্রিক থাকলে এটি হতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস: পেটের ওপরের দিকে বা বুকের নিচে তীব্র ব্যথা হয়। ফুসফুস-সংক্রান্ত কারণ প্লুরিসি (Pleurisy): ফুসফুসের আস্তরণে প্রদাহ হলে ব্যথা হয়, বিশেষ করে শ্বাস নেওয়ার সময়। নিউমোনিয়া বা ফুসফুসে ইনফেকশন: জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ ব্যথা হতে পারে। বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন।

আত্মিক বা মানসিক কারণ প্যানিক অ্যাটাক: হঠাৎ বুক ধড়ফড়, ঘাম, শ্বাসকষ্ট ও ব্যথা হতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাকের মতো মনে হতে পারে। কবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি? ব্যথা যদি হঠাৎ তীব্র হয় বাম বাহু, গলা বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় মাথা ঘোরে বা অজ্ঞান হওয়ার ভাব হয় ব্যথা ১৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়।

বুকের বাম পাশে চিন চিন ব্যথার কারণ

বুকের বাম পাশে চিন চিন ব্যথার কারণ বুকের বাম পাশে চিন চিন ব্যথা বা হালকা ব্যথা নানা কারণে হতে পারে। এটি সবসময় হার্ট-সম্পর্কিত না হলেও, কিছু ক্ষেত্রে এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ কারণ দেওয়া হলো:

হার্ট-সম্পর্কিত কারণ: অ্যাঞ্জিনা (Angina): হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে এই ব্যথা হয়। এটি সাধারণত বুকের বাম দিকে হয় এবং চাপ বা ভারী অনুভব হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack): তীব্র ব্যথা, ঘাম, বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্টসহ দেখা দেয়। পেরিকার্ডাইটিস (Pericarditis): হার্টের চারপাশের আবরণে প্রদাহ হলে ব্যথা হতে পারে।

অস্থি-পেশি সংক্রান্ত কারণ: কস্টোকন্ড্রাইটিস (Costochondritis): বুকের হাড় ও তরুণাস্থির সংযোগস্থলে প্রদাহ। মাংসপেশির টান বা ব্যথা: ভারী কাজ, বাজে ভঙ্গি বা আঘাতে হতে পারে। পেট ও হজমতন্ত্র সংক্রান্ত কারণ: অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা GERD: বুক জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হতে পারে। বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারনবুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন।

গ্যাস বা বদহজম: মাঝে মাঝে বুকের বাম দিকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। স্নায়ুবিষয়ক সমস্যা: স্নায়ু চেপে গেলে: বিশেষ করে ঘাড় বা পিঠে সমস্যা থাকলে সেখান থেকে স্নায়ু বেয়ে ব্যথা বুকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরি? আপনার নিচের যেকোনো উপসর্গ থাকলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন:

ব্যথা তীব্র বা কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী হলে বুকে চাপ অনুভব হলে শ্বাস নিতে কষ্ট হলে ঘাম, বমি, মাথা ঘোরা হলে ব্যথা কাঁধ, হাত, ঘাড় বা পিঠে ছড়িয়ে পড়লে বুকের বাম পাশের ব্যথা অনেক কারণেই হতে পারে — কিছু হালকা, আবার কিছু গুরুতর। যদি বারবার হয় বা বাড়ে, বা উপসর্গগুলো উদ্বেগজনক হয়, তবে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

লেখক এর মতামত

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল আপনাদের সাথে আলোচনা মুখ্য বিষয় ছিল বুকের বাম পাজরে ব্যাথার কারন সাথে আরো আলোচনা করেছি বুকের হাড়ের ব্যাথার ঔষধ পরিপূর্ণ বিবরণ সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে।

আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, এবং কোন কোন বিষয়গুলি আপনার ভালো লেগেছে আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষানীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন, আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রোকন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url