*/
OrdinaryITPostAd

কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ কিডনি রোগ কি ভাল হয়

কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আর সঠিক তথ্য পেতে এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখতে আরো কিডনি রোগ কি ভাল হয় এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ কিডনি রোগ কি ভাল হয় এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে নিচের আর্টিকেলগুলি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু বুঝতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ কিডনি ড্যামেজ বা কিডনির সমস্যা ধীরে ধীরে বিকাশ ঘটতে পারে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন লক্ষণ দেখা নাও যেতে পারে। তবে লক্ষণগুলো কিডনির ড্যামেজ বা সমস্যা নির্দেশ করতে পারে: কিডনি ড্যামেজের সাধারণ লক্ষণসমূহ: ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বিশেষ করে রাতে বারবার প্রস্রাব হওয়া।

প্রস্রাবে ফেনা বা রক্ত থাকা কিডনির ক্ষতির কারণে প্রোটিন প্রস্রাবে চলে আসতে পারে (Proteinuria)। শরীর ফুলে যাওয়া (Edema) বিশেষ করে চোখের নিচে, হাত, পা বা পায়ের গোড়ালিতে পানি জমে ফুলে যাওয়া। অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা কিডনি ভালোভাবে রক্ত পরিশোধন করতে না পারলে টক্সিন জমে ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়।

বমি ভাব ও ক্ষুধামান্দ্য শরীরে টক্সিন জমার ফলে বমি ভাব বা খাওয়ার অনীহা দেখা দেয়। চামড়ায় চুলকানি ও শুষ্কতা কিডনি যদি বর্জ্য দূর করতে না পারে তবে তা ত্বকে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া (Hypertension) কিডনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে, তাই কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়।

ঘুমের সমস্যা রক্তে বর্জ্য জমে গেলে ঘুম ব্যাহত হতে পারে। মুখে দুর্গন্ধ বা ধাতব স্বাদ শরীরে ইউরিয়া বেড়ে গেলে মুখে ধাতব স্বাদ বা দুর্গন্ধ দেখা দিতে পারে। স্মৃতিশক্তি বা মনোযোগে সমস্যা রক্তে টক্সিন জমলে মানসিক দুর্বলতা বা বিভ্রান্তি হতে পারে। কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি?

উপরোক্ত লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি বা একাধিক থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত কিডনি ফাংশনের পরীক্ষা করানো উচিত।

কিডনি রোগ কি ভাল হয়

কিডনি রোগ কি ভাল হয় কিডনি রোগ ভালো হয় কি না, তা নির্ভর করে রোগের ধরণ, পর্যায় (স্টেজ) এবং চিকিৎসা শুরু করার সময়ে রোগীর অবস্থার ওপর। বিভিন্ন ধরণের কিডনি সমস্যার সম্পর্কে সংক্ষেপে বলা হলো: অস্থায়ী কিডনি সমস্যা (Acute Kidney Injury - AKI): এটি অনেক সময় ভালো হয়ে যেতে পারে।

সাধারণত ডিহাইড্রেশন, ইনফেকশন বা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হয়ে থাকে। যদি দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হয়, তবে সম্পূর্ণ সেরে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। ধীরে ধীরে কিডনি বিকল হওয়া (Chronic Kidney Disease - CKD): এটি সম্পূর্ণ ভালো হয় না। তবে সঠিক ও নিয়মিত চিকিৎসা, কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

ডায়েট এবং লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে এর গতি ধীর করা যায় এবং অনেক বছর কিডনি কার্যকরভাবে রাখা সম্ভব। CKD সাধারণত ৫টি স্টেজে ভাগ করা হয়। স্টেজ ১-৩ তে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ। চূড়ান্ত পর্যায়ে কিডনি বিকল (End Stage Renal Disease - ESRD): এই পর্যায়ে কিডনি স্থায়ীভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়।

তখন ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন (Kidney Transplant) ছাড়া বিকল্প থাকে না। এই পর্যায়ে কিডনি নিজে থেকে আর ভালো হয় না। প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য করণীয়: উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সঠিক খাদ্যাভ্যাস (কম লবণ, পর্যাপ্ত পানি, প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ) নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা (নিজে থেকে পেইনকিলার না খাওয়া)

কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ

কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ কিডনি ইনফেকশন (Kidney Infection), যা মেডিকেল ভাষায় পাইলোনেফ্রাইটিস (Pyelonephritis) নামে পরিচিত, একটি গুরুতর ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) যা কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে। এর কিছু সাধারণ লক্ষণ নিম্নরূপ: কিডনি ইনফেকশনের সাধারণ লক্ষণসমূহ: জ্বর ও ঠান্ডা লাগা হঠাৎ করে উচ্চ জ্বর (১০১°F বা তার বেশি) কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

শরীর কাঁপা বা ঠান্ডায় কাপাকাপি পিঠ বা কোমরের এক পাশে তীব্র ব্যথা পিঠের নিচের অংশ বা পাশে ব্যথা (কখনও কোমরে বা তলপেটে ছড়ায়) প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা পুড়াপুড়ি বা ঝাঁঝালো অনুভব হতে পারে প্রস্রাবে পরিবর্তন ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রয়োজন প্রস্রাবের রঙ ঘোলা হয়ে যাওয়া।

প্রস্রাবে দুর্গন্ধ কখনো রক্ত থাকা বমি ভাব বা বমি অনেক সময় ক্ষুধামান্দ্য বা বমি হতে পারে অসুস্থ, দুর্বল বা ক্লান্ত লাগা ইনফেকশনের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি বা অস্বাভাবিক আচরণ বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে বিভ্রান্তি বা আচরণগত পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন? যদি উপরের লক্ষণগুলোর মধ্যে এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা দেয়, বিশেষ করে জ্বর ও পিঠের ব্যথা সহ প্রস্রাবজনিত উপসর্গ থাকে, তবে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অবহেলা করলে ইনফেকশন রক্তে ছড়িয়ে পড়ে সেপসিস তৈরি করতে পারে, যা জীবন-হানিকর হতে পারে।

কিডনি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

কিডনি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা কিডনি রোগ (Kidney Disease) একটি জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা যা ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। সময়মতো লক্ষণ চেনা ও চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগের ক্ষতি অনেকটাই কমানো সম্ভব। কিডনি রোগের প্রধান লক্ষণসমূহ ফুলে যাওয়া (সোয়েলিং) মুখ, চোখ, হাত ও পায়ের গোঁড়ায় ফোলা দেখা দিতে পারে।

মূত্রে সমস্যা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া প্রস্রাবে ফেনা হওয়া প্রস্রাবে রক্ত বা গাঢ় রং দেখা দেওয়া শরীরে দুর্বলতা ও ক্লান্তি রক্তশূন্যতার কারণে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা হতে পারে। বমি ভাব ও খাবারে অরুচি কিডনি ঠিকমতো বর্জ্য বের করতে না পারলে শরীরে টক্সিন জমে এই সমস্যা হয়।

চুলকানি ও ত্বকের শুষ্কতা উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের কারণেও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে এবং এটি কিডনি আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ঘুমে সমস্যা টক্সিনের কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। কিডনি রোগের চিকিৎসা চিকিৎসা নির্ভর করে কিডনি রোগের ধরণ ও পর্যায়ের উপর। মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:

প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন (নুন, প্রোটিন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম নিয়ন্ত্রণে রাখা) রক্তের পরিক্ষা ও প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ প্রয়োজনে ওষুধ গ্রহণ উন্নত পর্যায়ে (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা কিডনি ফেলিওর) ডায়ালাইসিস (Dialysis): শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য

কিডনি প্রতিস্থাপন (Kidney Transplant) ডায়েট ম্যানেজমেন্ট ও নিয়মিত ফলোআপ খাদ্য ও জীবনধারায় করণীয় কম লবণযুক্ত খাদ্য খাওয়া প্রচুর পানি পান (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী) প্রস্রাব আটকে না রাখা অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণ না করা (বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধ) কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত? চোখ বা পায়ে ফুলে যাওয়া প্রস্রাবের রং বা ঘনত্বে পরিবর্তন উচ্চ রক্তচাপ যেটা নিয়ন্ত্রণে আসছে না প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা রক্ত।

কিডনি ড্যামেজের রিপোর্ট

কিডনি ড্যামেজের রিপোর্ট আপনি যদি কিডনি ড্যামেজ সংক্রান্ত কোনো রিপোর্ট (যেমন: রক্তের পরীক্ষা, প্রস্রাবের রিপোর্ট, আল্ট্রাসোনোগ্রাম, সিটি স্ক্যান বা বায়োপসি রিপোর্ট) বিশ্লেষণ করতে চান, দয়া করে সেই রিপোর্টটি আপলোড করুন বা রিপোর্টের বিবরণ দিন। কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

সাধারণত কিডনি ড্যামেজ বোঝার জন্য নিচের কিছু রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে: Serum Creatinine – কিডনির কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য প্রধান পরীক্ষা। eGFR (Estimated Glomerular Filtration Rate) – কিডনি কতটা ভালোভাবে রক্ত ফিল্টার করছে তা নির্দেশ করে।

Urine Protein/Albumin (ACR - Albumin Creatinine Ratio) – প্রস্রাবে অ্যালবুমিন থাকলে তা কিডনির ক্ষতির ইঙ্গিত দেয়। Blood Urea Nitrogen (BUN) – কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে এই মান বেড়ে যেতে পারে। Ultrasound of Kidney – কিডনির আকার ও গঠন বোঝার জন্য। Electrolyte levels (পটাসিয়াম, সোডিয়াম ইত্যাদি) – কিডনির ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা মূল্যায়নের জন্য।

সুস্থ কিডনির লক্ষণ

সুস্থ কিডনির লক্ষণ সুস্থ কিডনির কিছু সাধারণ লক্ষণ বা চিহ্ন নিচে দেওয়া হলো, যেগুলো নির্দেশ করে যে কিডনি ভালোভাবে কাজ করছে: সাধারণ মূত্রত্যাগের অভ্যাস: প্রতিদিন নিয়মিত পরিমাণে প্রস্রাব হয় (প্রায় ৪-৮ বার) প্রস্রাবের রং হালকা হলুদ এবং খুব বেশি গা dark বা লালচে নয় প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হয় না।

শরীরে ফোলাভাব না থাকা: চোখ, মুখ, হাত-পা বা গোড়ালিতে অস্বাভাবিক ফোলা না থাকা (কিডনি সমস্যা হলে শরীরে পানি জমে ফোলাভাব দেখা যায়) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা: কিডনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, তাই রক্তচাপ যদি স্বাভাবিক থাকে (প্রায় ১২০/৮০ mmHg এর কাছাকাছি), সেটা সুস্থ কিডনির ইঙ্গিত হতে পারে।

শক্তি ও ক্লান্তিহীনতা: কিডনি ঠিকমতো কাজ করলে শরীরে টক্সিন জমে না, ফলে ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি অনুভূত হয় না চামড়া পরিষ্কার ও চুলকানি না থাকা: কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়, যা না হলে চামড়ায় চুলকানি, র‍্যাশ বা শুষ্কতা দেখা দিতে পারে কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

ঘুমের গুণমান ভালো থাকা: সুস্থ কিডনি টক্সিন ঠিকভাবে বের করে দেয়, ফলে ঘুম ব্যাঘাত ঘটে না মুখে দুর্গন্ধ বা অস্বাভাবিক স্বাদ না থাকা: কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে বর্জ্য জমে, যার ফলে মুখে ধাতব স্বাদ বা দুর্গন্ধ হতে পারে এই লক্ষণগুলোর উপস্থিতি বোঝায় যে আপনার কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছে।

তবে, অনেক সময় কিডনির সমস্যা প্রাথমিকভাবে কোনো লক্ষণ ছাড়াই শুরু হয়, তাই নিয়মিত রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা, রক্তচাপ পরীক্ষা, ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

কিডনি ব্যাথার লক্ষণ

কিডনি ব্যাথার লক্ষণ কিডনি ব্যাথা (Kidney pain) সাধারণত পেছনের দিকে, কোমরের দুই পাশে অনুভূত হয় এবং এটি কিছু নির্দিষ্ট রোগ বা সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। কিডনি ব্যাথার কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ দেওয়া হলো: কিডনি ব্যাথার সাধারণ লক্ষণসমূহ: পেছনের এক পাশে ব্যথা: 

কোমরের উঁচু অংশ বা পেছনের নিচের দিকে ব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে পাঁজরের নিচে বা পাশে। ব্যথা তীব্র বা ধীরে ধীরে শুরু হতে পারে: ব্যথা হঠাৎ করে খুব তীব্র হতে পারে (যেমন কিডনিতে পাথর হলে) বা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে (যেমন সংক্রমণ হলে)। জ্বর এবং কাঁপুনি: সংক্রমণের কারণে কিডনি ব্যথার সাথে জ্বর ও কাঁপুনি দেখা দিতে পারে।

প্রস্রাবে সমস্যা: ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ প্রস্রাবে জ্বালা বা ব্যথা প্রস্রাব ঘোলাটে বা দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাবে রক্ত দেখা যেতে পারে বমি বা বমি বমি ভাব: বিশেষ করে কিডনি পাথরের কারণে। শরীর দুর্বল লাগা বা ক্লান্তিভাব তলপেটে বা অণ্ডকোষে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে (পুরুষদের ক্ষেত্রে) কিডনি ব্যাথার সম্ভাব্য কারণ: কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

কিডনিতে পাথর ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) কিডনি ইনফেকশন (Pyelonephritis) পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ হাইড্রোনেফ্রোসিস (কিডনিতে প্রস্রাব জমে ফুলে যাওয়া) কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে: ব্যথা খুব তীব্র হলে বা দীর্ঘদিন ধরে থাকে প্রস্রাবে রক্ত বা পুঁজ দেখা গেলে জ্বর ও কাঁপুনি থাকলে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে বা অনেক কম হলে।

কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ

কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো অনেক সময় স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায় না, কারণ কিডনি ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কিছু সাধারণ প্রাথমিক লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো, যেগুলোর উপস্থিতি কিডনি সমস্যা নির্দেশ করতে পারে: কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ: প্রস্রাবের পরিমাণ বা স্বভাবের পরিবর্তন ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, বিশেষ করে রাতে প্রস্রাবের রঙ গা dark় বা ফেনাযুক্ত হওয়া প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা প্রস্রাবে রক্ত দেখা ফোলাভাব (Edema) মুখ, চোখের নিচে, পা, গোড়ালি বা হাত ফুলে যাওয়া অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা।

কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমে ক্লান্তি বা দুর্বলতা তৈরি হয় বমিভাব বা বমি হওয়া বিষাক্ত পদার্থ জমে থাকায় বমি বা বমিভাব দেখা দেয় খিদে না লাগা ও ওজন কমে যাওয়া ত্বকে চুলকানি বা শুষ্ক ত্বক মাথাব্যথা বা মনোযোগে ঘাটতি পেশি টান ধরা বা ব্যথা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া (Hypertension) এটি কিডনি সমস্যার কারণ এবং ফলাফল—উভয়ই হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে ফুসফুসে পানি জমে শ্বাসকষ্ট হতে পারে কখন ডাক্তার দেখানো উচিত? উপরের লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি যদি নিয়মিতভাবে দেখা যায়, বিশেষ করে যদি আপনি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি ফাংশন যাচাই করা যেতে পারে (যেমন: Creatinine, eGFR, Urine protein test)।

কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার কিডনি রোগ একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সময়মতো শনাক্ত ও প্রতিরোধ না করলে জটিল অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। নিচে কিডনি রোগের কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার আলোচনা করা হলো: কিডনি রোগের কারণ: ডায়াবেটিস (বেশি সময় ধরে অনিয়ন্ত্রিত সুগার লেভেল)

উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেশার) কিডনিতে সংক্রমণ (ইনফেকশন) জেনেটিক বা বংশগত রোগ (যেমন: পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ) অতিরিক্ত ও নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ (NSAIDs) দীর্ঘ সময় পানি কম পান করা ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাব আটকে রাখা হৃদরোগ বা রক্তনালীর রোগ কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

কিছু বিষাক্ত পদার্থ বা ওষুধের প্রভাব (যেমনঃ অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট, স্টেরয়েড) কিডনি রোগের লক্ষণ: প্রথম দিকে লক্ষণ দেখা না গেলেও, নিচের উপসর্গগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে পারে: শরীরে পানি আসা (মুখ, চোখ, পা ফুলে যাওয়া) প্রস্রাবের পরিমাণ বা রঙের পরিবর্তন প্রস্রাবে ফেনা, রক্ত বা দুর্গন্ধ

খুব সহজে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া বমি বমি ভাব বা ক্ষুধামন্দা চামড়া চুলকানো বা শুষ্ক হয়ে যাওয়া মাথা ঘোরা বা মনোযোগ কমে যাওয়া ঘুমে সমস্যা হওয়া মাংসপেশিতে টান ধরা প্রতিকার ও প্রতিরোধ: প্রতিকার (চিকিৎসা): কারণ অনুসারে চিকিৎসা (যেমন: ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ) ওষুধ সঠিকভাবে ও নিয়মিত গ্রহণ করা।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন খাদ্যতালিকায় কিডনি-বান্ধব খাবার রাখা নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা ও ইউরিন টেস্ট করা প্রতিরোধ: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা (২-৩ লিটার) সুগার ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রস্রাব আটকে না রাখা নিয়মিত শরীরচর্চা করা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।

অপ্রয়োজনীয় ওষুধ (বিশেষ করে ব্যথার ওষুধ) এড়িয়ে চলা প্রোটিন ও লবণ নিয়ন্ত্রণে খাওয়া নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা (বিশেষ করে যদি ঝুঁকি থাকে) যদি উপরের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে কিডনি রোগের জটিলতা অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

লেখক এর মতামত

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল আপনাদের সাথে আলোচনা মুখ্য বিষয় ছিল কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ সাথে আরো আলোচনা করেছি কিডনি রোগ কি ভাল হয় পরিপূর্ণ বিবরণ সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে।

আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, এবং কোন কোন বিষয়গুলি আপনার ভালো লেগেছে আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষানীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন, আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রোকন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Shakhawat Hosen
Md. Shakhawat Hosen
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট তিনি অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। ৫ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সফল হতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।