শুকনো খেজুর, শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম
শুকনো খেজুর বা শুকনা ছাহারি আমাদের দেশে খুব পরিচিত ও পুষ্টিকর একটি খাবার। এটি শক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তবে অনেকেই জানেন না।
শুকনো খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম, পরিমাণ কিংবা উপযুক্ত সময় কী হওয়া উচিত। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনার সাথে শেয়ার করছি শুকনো খেজুর খাওয়ার সম্পূর্ণ নিয়ম ও উপকারিতা।
শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম
১. পরিষ্কার করে খাওয়া শুকনো খেজুর খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া জরুরি। ইচ্ছা হলে হালকা গরম পানিতে ৫–১০ মিনিট ভিজিয়ে নিলে নরম হয়ে যায় এবং হজম সহজ হয়।
২. পরিমাণ কত হবে প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক ২–৩টি শিশুদের ১–২টি অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা বা শরীর গরম লাগতে পারে।
৩. খাওয়ার সেরা সময় সকালে খালি পেটে খেলে দ্রুত এনার্জি পাওয়া যায়। ইফতারের সময় শুকনো খেজুর শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। ওয়ার্কআউটের আগে খেলে স্ট্যামিনা বাড়ায়। রাতে দুধের সাথে খেলে শরীরের দুর্বলতা কমায়।
৪. যেভাবে খেতে পারেন সরাসরি চিবিয়ে গরম দুধে ভিজিয়ে স্মুদি বা ওটসের সাথে গরম পানিতে নরম করে
আরো পড়ুনঃ ইতালি ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং টাইম ইন বাংলাদেশ
শুকনো খেজুরের উপকারিতা
১. তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়
শুকনো খেজুরে প্রাকৃতিক গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ থাকে যা শরীরকে দ্রুত এনার্জি সরবরাহ করে।
২. হজমশক্তি বাড়ায়
ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
৩. শরীর গরম রাখে
শুকনো খেজুর শীতকালে শরীর গরম রাখতে সহায়তা করে, তাই ঠান্ডার সময় বিশেষ উপকারী।
৪. রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়ক
এতে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে, বিশেষ করে নারীদের জন্য খুব উপকারী।
৫. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন–বি, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৬. হাড় মজবুত করে
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড়ের গঠন শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে।
কারা সাবধানে খাবেন?
- ডায়াবেটিস রোগীরা দৈনিক ১–২টির বেশি খাবেন না।
- যারা গরমে সংবেদনশীল তারা পরিমাণ কম রাখবেন।
- যাদের হজমে সমস্যা থাকে তারা গরম পানিতে ভিজিয়ে নরম করে খাবেন।
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. শুকনো খেজুর প্রতিদিন খাওয়া যায় কি?
হ্যাঁ, তবে পরিমাণ ২–৩টির বেশি না হওয়াই ভালো।
২. ডায়াবেটিস রোগীরা কি খেতে পারবেন?
পারবেন, তবে সীমিত পরিমাণে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে।
৩. কোন বয়স থেকে শুকনো খেজুর খাওয়ানো যায়?
১ বছরের বেশি বয়স হলে ধীরে ধীরে দেওয়া যায়, তবে গুঁড়া করে বা ভিজিয়ে নরম করে দিতে হবে।
শেষ কথা
শুকনো খেজুর ছোট হলেও এর খাদ্যগুণ বিশাল। সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ মেনে খেলে এটি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তুলবে। তাই নিয়মিত খেতে পারেন—তবে পরিমিত মাত্রায়।


রোকন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url