দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন
দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আর সঠিক তথ্য পেতে এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখতে আরো দাঁতের রোগের নাম এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
- দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ
- দাঁতের রোগের নাম
- হলুদ দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়
- দাঁত হলুদ হলে করণীয়
- দাঁত সাদা করার টুথপেস্ট
- দাঁত সাদা করার উপায়
- দাঁত লাল হলে করণীয়
- দাঁতের হলদে দাগ
- দাঁত পাথর পরিষ্কার করার উপায়
- লেখক এর মতামত
দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ
দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ দাঁত হলুদ হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। কিছু প্রধান কারণ হলো: খাবার এবং পানীয়: কিছু খাবার ও পানীয় যেমন কফি, চা, সোডা, মিষ্টান্ন বা সসগুলির কারণে দাঁতে দাগ পড়ে এবং এগুলো হলুদ হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ট্যানিন সমৃদ্ধ পানীয় দাঁতের সুরত বদলে ফেলতে পারে।
দাঁতের অপর্যাপ্ত পরিস্কার: দাঁত নিয়মিত পরিস্কার না করলে মাড়ি এবং দাঁতে প্লাক জমে যায়, যার ফলে দাঁতের রঙ বদলে যেতে পারে। এই প্লাক হলুদ বা গা dark ় হয়ে যেতে পারে। ধূমপান: সিগারেট বা তামাক জাতীয় পণ্য ব্যবহারের কারণে দাঁতে হলুদ দাগ পড়ে এবং রঙের পরিবর্তন ঘটে। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ।
বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে দাঁতের ইমেল (emamel) পড়ে যেতে থাকে, যার ফলে দাঁত নিচের দাঁতের কালো অংশ (ডেন্টিন) প্রকাশ পায়। ডেন্টিন হলুদ বা গা dark ় হতে পারে। ফ্লুরাইড: অত্যধিক ফ্লুরাইড ব্যবহারের ফলে দাঁতে হলুদ দাগ পড়ে। এটি সাধারণত পানিতে অতিরিক্ত ফ্লুরাইডের উপস্থিতির কারণে হতে পারে। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন।
জেনেটিক কারণ: কিছু মানুষ প্রাকৃতিকভাবে হলুদ বা গা dark ় দাঁত নিয়ে জন্মাতে পারেন। এটি জেনেটিক কারণে হতে পারে। ঔষধ বা চিকিৎসা: কিছু ঔষধ বা চিকিৎসা যেমন অ্যান্টিবায়োটিক (বিশেষ করে টেট্রাসাইক্লিন) ব্যবহারের কারণে দাঁতে দাগ পড়তে পারে এবং রঙ পরিবর্তিত হতে পারে।
স্বাস্থ্য সমস্যা: দাঁতে হলুদ দাগ বা পরিবর্তন হতে পারে শরীরের কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন ডায়াবেটিস বা হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে। এইসব কারণে দাঁত হলুদ হতে পারে, তবে আপনি যদি চাইলে দাঁতের রঙ সাদা করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা, ফ্লস ব্যবহার, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, এবং পানীয় বা সিগারেট পরিহার করলে দাঁতের রঙ ভালো রাখা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ পায়ের নখ মরে যায় কেন ভিটামিনের অভাবে সমস্যা হয়
দাঁতের রোগের নাম
দাঁতের রোগের নাম দাঁতের বিভিন্ন রোগ এবং সমস্যা রয়েছে, যা দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ দাঁতের রোগের নাম এবং তাদের বর্ণনা দেওয়া হলো: দাঁতের মাড়ির রোগ (গিংগিভাইটিস): এটি একটি সাধারণ রোগ যেখানে মাড়ির প্রদাহ হয়। মাড়ির রক্তক্ষরণ, ফোলা বা ব্যথা হতে পারে।
গিংগিভাইটিস মূলত দাঁতের মধ্যে জমে থাকা প্লাকের কারণে হয়। পিরিয়ডনটাইটিস: এটি গিংগিভাইটিসের একটি উন্নত রূপ, যেখানে মাড়ির প্রদাহ দাঁতের সংযোগস্থল (পিরিয়ডন্টাল লিগামেন্ট) এবং হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এটি দাঁত নড়বড়ে বা পড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ।
ডেন্টাল ক্যারিজ (দাঁতের ক্ষয়): দাঁতের সুরক্ষা রোধকারী ইমেল ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যাওয়ার কারণে দাঁতে গর্ত সৃষ্টি হয়, যা দাঁতের ক্ষয় বা ক্যারিজ হিসেবে পরিচিত। এটি সাধারণত অতিরিক্ত চিনি বা অম্লযুক্ত খাবারের কারণে ঘটে। ডেন্টাল অ্যাবসেস (দাঁতের ফোড়া): এটি দাঁতের মূলে বা গামের মধ্যে পুঁজ জমে তৈরি হয়।
এটি ব্যথা, ফুলে যাওয়া, এবং কখনও কখনও তীব্র সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। ব্রুকিজম (দাঁত চেপে ধরা): এটি একটি অবস্থায় দাঁত চেপে বা ঘষে ধরা হয়, যা সাধারনত রাতে ঘটে। এটি দাঁত ক্ষয়, মাড়ির সমস্যা বা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। দাঁতের সংক্রমণ (স্টোমাটাইটিস): এটি মুখের ভিতরের অংশে (যেমন গাম।
জিভ বা তালু) সংক্রমণ সৃষ্টি হতে পারে। এটি ব্যথা, লালভাব বা ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে। ম্যালোক্লুশন (দাঁতের অস্বাভাবিক সজ্জা): এটি দাঁত সঠিকভাবে একত্রিত না হওয়া বা বক্ররেখার সমস্যা। এর ফলে দাঁতে চাপ পড়ে এবং কামড়ের সমস্যা সৃষ্টি হয়। অরাল ক্যানডিডিয়াসিস (মুখের ছত্রাক সংক্রমণ):
এটি একটি ছত্রাকজনিত সংক্রমণ যা সাধারণত মুখের মধ্যে সাদা দাগ সৃষ্টি করে এবং গলা বা জিভে ব্যথা বা জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট ডিসঅর্ডার (TMJ): এটি একটি সমস্যা যা চোয়াল বা গালে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এটি দাঁতের উপর চাপ বা কামড়ের অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি হতে পারে। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন।
দাঁতের সেনসিটিভিটি (Dentin Hypersensitivity): এটি দাঁতে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা তৈরি করে, যা ঠাণ্ডা বা গরম খাবার বা পানীয় খাওয়ার সময় তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে। এই সব দাঁতের রোগের কারণে দাঁতের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা, ফ্লস ব্যবহার করা, এবং দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এসব রোগের প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
হলুদ দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়
হলুদ দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায় হলুদ দাঁত সাদা করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা আপনি সহজেই বাড়িতেই ব্যবহার করতে পারেন। তবে, এগুলোর কিছুটা সাফল্য হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের জন্য নিয়মিত ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এখানে কিছু ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলো:
বেকিং সোডা ও লেবু উপকরণ: বেকিং সোডা, লেবুর রস। পদ্ধতি: এক চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি ব্রাশের সাহায্যে দাঁতে লাগান এবং ১-২ মিনিট ঘষে পরিস্কার করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দ্রষ্টব্য: বেকিং সোডা খুব বেশি ব্যবহৃত হলে দাঁতের ইমেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তাই সপ্তাহে ২-৩ বার বেশি না করার চেষ্টা করুন। চারকোল (Activated Charcoal) উপকরণ: এক টুকরো অ্যাক্টিভেটেড চারকোল (এটি স্বাস্থ্যসংক্রান্ত দোকান থেকে পাওয়া যায়)। পদ্ধতি: অ্যাক্টিভেটেড চারকোলের একটি টুকরো নিন এবং তা দাঁতে ভালোভাবে ঘষুন। ২-৩ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
দ্রষ্টব্য: এটি প্রাকৃতিকভাবে দাঁতের দাগ দূর করতে সহায়তা করতে পারে, তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে দাঁতের ইমেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আপেল সিডার ভিনেগার উপকরণ: আপেল সিডার ভিনেগার। পদ্ধতি: এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি দিয়ে মুখ কুলি করুন এবং ১-২ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
হলুদ দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়
দ্রষ্টব্য: আপেল সিডার ভিনেগার অম্লিক, তাই বেশি ব্যবহারের ফলে দাঁতের ইমেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করা উচিত। স্ট্রবেরি ও বেকিং সোডা উপকরণ: এক বা দুটি স্ট্রবেরি, বেকিং সোডা। পদ্ধতি: স্ট্রবেরি ভালোভাবে চটকে একটি পেস্ট তৈরি করুন। বেকিং সোডা মিশিয়ে দাঁতে লাগান এবং ২-৩ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
দ্রষ্টব্য: স্ট্রবেরিতে উপস্থিত অ্যালানিন এবং ভিটামিন সি দাঁতের দাগ দূর করতে সাহায্য করতে পারে। কোকোনাট অয়েল (নিরাপদ তেল) উপকরণ: নারকেল তেল। পদ্ধতি: এক চামচ নারকেল তেল নিয়ে দাঁতে ৫-১০ মিনিট ভালোভাবে ব্রাশ করুন বা গাল দিয়ে টানুন (এটি "অয়েল পুলিং" নামে পরিচিত)। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ।
পরে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দ্রষ্টব্য: এটি দাঁতের উপর থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করতে পারে এবং দাঁতের সাদা করার জন্য সহায়ক হতে পারে। হলুদ (Turmeric) উপকরণ: হলুদ, পানি। পদ্ধতি: অল্প পরিমাণ হলুদ দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং এটি দাঁতে লাগিয়ে ১-২ মিনিট ঘষুন।
তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দ্রষ্টব্য: হলুদ একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক হতে পারে যা দাঁত পরিষ্কার করতে সহায়তা করতে পারে। তবে, এটি সরাসরি ব্যবহার করলে কিছু সময় দাঁতে হলুদ দাগ পড়তে পারে, সুতরাং প্রপারভাবে পরিষ্কার করা প্রয়োজন। ডিমের খোসার গুঁড়া উপকরণ: শুকনো ডিমের খোসা, বেকিং সোডা।
পদ্ধতি: ডিমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। এর সাথে কিছু বেকিং সোডা মিশিয়ে দাঁতে লাগান। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দ্রষ্টব্য: ডিমের খোসার মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকে যা দাঁতের স্বাস্থ্য এবং সাদা করতে সাহায্য করতে পারে। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন।
কিছু সতর্কতা:
- ঘরোয়া উপায়গুলোর ব্যবহারে খুব বেশি ব্যাবহার না করাই ভালো, কারণ এটি দাঁতের ইমেল ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
- যদি দাঁতে প্রচুর দাগ থাকে বা দাঁত সংক্রান্ত গুরুতর সমস্যা থাকে, তাহলে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এই ঘরোয়া উপায়গুলো নিয়মিত ব্যবহারে সাদা দাঁত অর্জন করা সম্ভব হতে পারে, তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও দাঁত পরিষ্কারের অভ্যাস বজায় রাখা সর্বোত্তম।
দাঁত হলুদ হলে করণীয়
দাঁত হলুদ হলে করণীয় যদি আপনার দাঁত হলুদ হয়ে থাকে, তবে এটি একটি সাধারণ সমস্যা হলেও তা ঠিক করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনি নিম্নলিখিত পরামর্শগুলো অনুসরণ করতে পারেন: দাঁত নিয়মিত ব্রাশ করুন দিনে ২ বার দাঁত ব্রাশ করা প্রয়োজন। একটি ভাল মানের ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
টুথপেস্ট বেছে নেওয়ার সময় সাদা দাঁত রাখতে সহায়ক এমন একটি পেস্ট বেছে নিন, যেটিতে অতিরিক্ত স্ক্রাবিং উপাদান না থাকে। টুথব্রাশের পাশাপাশি, ফ্লস ব্যবহার করে দাঁতের মাঝের অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ।
মুখ পরিষ্কার রাখতে মাউথওয়াশ বা মাউথ রিন্স ব্যবহার করতে পারেন। এটি মাড়ি ও দাঁতে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এমন মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন যা দাঁতের রঙ সাদা করতে সহায়ক। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন।
- চা, কফি এবং সোডা কম পান করুন
- চা, কফি, এবং সোডা পান করার ফলে দাঁতে দাগ পড়ে এবং সেগুলি হলুদ হয়ে যেতে পারে।
- এই পানীয়গুলো কম খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং খাবারের পরে পানির সাথে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য পরিহার করুন
- ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে দাঁতে হলুদ দাগ পড়ে। তাই এগুলি বন্ধ করা জরুরি।
- ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করুন
দাঁত হলুদ হলে করণীয়
বেকিং সোডা ও লেবু: বেকিং সোডার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাঁতে লাগিয়ে ১-২ মিনিটের জন্য ঘষুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। স্ট্রবেরি ও বেকিং সোডা: স্ট্রবেরি চটকে বেকিং সোডার সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগাতে পারেন। এটি প্রাকৃতিকভাবে দাঁতের দাগ দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফল না পাওয়া যায় এবং দাঁত অস্বস্তিকর বা বেদনাদায়ক হয়ে যায়, তবে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন। ডেন্টিস্ট বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন স্কেলিং বা পোলিশিং করে দাঁতের দাগ দূর করতে সাহায্য করতে পারেন। দাঁতের স্কেলিং (Teeth Scaling) স্কেলিং হল দাঁতের উপর জমে থাকা প্লাক এবং টার্টার
(পাথরের মতো শক্ত প্লাক) পরিষ্কার করার পদ্ধতি। এটি দাঁতের সাদা করার একটি কার্যকর উপায় এবং প্রফেশনাল দাঁতের চিকিৎসক দ্বারা করা হয়। দাঁতের ব্লিচিং ডেন্টাল ব্লিচিং একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে দাঁতের রঙ সাদা করা হয়। এটি একটি প্রফেশনাল চিকিৎসা, যা ডেন্টিস্ট দ্বারা করা হয়। ব্লিচিং পদ্ধতিতে দাঁতে সাদা রঙ ফেরানো সম্ভব হয়।
প্রাকৃতিক খাবার খান আপেল, গাজর, সেলারি ইত্যাদি খাবার দাঁত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, কারণ এগুলো দাঁত ঘষে পরিষ্কার করতে সক্ষম। দাঁত সাদা রাখতে মৌসুমী ফল ও সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কম খান। ফ্লুরাইড চিকিৎসা দাঁত সাদা রাখতে ফ্লুরাইড ব্যবহার করা প্রয়োজন। ফ্লুরাইড দাঁতের শক্তি বাড়ায় এবং দাঁত সাদা রাখতে সাহায্য করে।
সতর্কতা: হলুদ দাঁত সাদা করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলি কার্যকর হতে পারে, তবে অত্যধিক ব্যবহারে দাঁতের ইমেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই যদি প্রাকৃতিক উপায়গুলির মাধ্যমে দাঁতের রঙ ঠিক না হয় বা সমস্যা গুরুতর মনে হয়, তাহলে দ্রুত ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁত সাদা করার টুথপেস্ট
দাঁত সাদা করার টুথপেস্ট দাঁত সাদা করার জন্য কিছু বিশেষ টুথপেস্ট রয়েছে, যা দাঁতের দাগ দূর করতে সাহায্য করতে পারে এবং দাঁতকে সাদা রাখতে সহায়তা করে। এই ধরনের টুথপেস্ট সাধারণত বিভিন্ন কার্যকর উপাদান যেমন বেকিং সোডা, অ্যাক্টিভেটেড চারকোল, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন।
অথবা কার্বামাইড পারঅক্সাইড ব্যবহার করে থাকে। নিচে কিছু জনপ্রিয় ও কার্যকর দাঁত সাদা করার টুথপেস্টের নাম ও তাদের উপাদান দেওয়া হলো: Colgate Optic White উপাদান: হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড। বৈশিষ্ট্য: এটি দাঁতের দাগ দূর করতে এবং সাদা করতে সহায়ক। এটি দীর্ঘমেয়াদে সাদা দাঁত বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ফায়দা: হালকা দাগও দূর করতে সাহায্য করে এবং মুখে তাজা গন্ধ রাখে। Sensodyne Pronamel Gentle Whitening উপাদান: ফ্লুরাইড এবং সেন্টিটিভিটি রিলিফ। বৈশিষ্ট্য: এটি দাঁত সাদা করতে সহায়ক এবং একইসাথে সেসিটিভিটি (অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা) কমাতে সাহায্য করে। দাঁতের এনামেলকেও সুরক্ষিত রাখে।
ফায়দা: যদি আপনার দাঁত সেংসিটিভ (অতিরিক্ত সংবেদনশীল) হয় তবে এটি একটি ভালো পছন্দ। Arm & Hammer Advance White with Baking Soda & Peroxide উপাদান: বেকিং সোডা এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড। বৈশিষ্ট্য: এটি দাঁতের দাগ দূর করতে এবং সাদা করতে সাহায্য করে। বেকিং সোডা দাঁতের প্লাক এবং দাগ দূর করতে কার্যকর।
ফায়দা: প্রাকৃতিকভাবে দাঁত পরিষ্কার করতে সহায়ক এবং দাঁতের মজ্জাকে সুরক্ষিত রাখে। Pearl Drops Pure Whitening উপাদান: স্লিপারি এলোমি এবং হালকা স্ক্রাবিং উপাদান। বৈশিষ্ট্য: এটি দাগ দূর করতে এবং দাঁত সাদা করতে সহায়তা করে। এটি হালকা স্ক্রাবিং উপাদান ব্যবহার করে দাঁতের উপর থেকে দাগ ও ময়লা পরিষ্কার করে।
দাঁত সাদা করার টুথপেস্ট
ফায়দা: এটি কোমল এবং শক্তিশালী সাদা করতে সক্ষম। Marvis Whitening Mint Toothpaste উপাদান: হালকা মিন্ট এবং সাদা করার উপাদান। বৈশিষ্ট্য: এটি দাঁতের দাগ দূর করতে এবং দাঁতকে সাদা রাখতে সাহায্য করে। এর মিন্টি গন্ধ মুখকে সতেজ রাখে। ফায়দা: এটি দাঁতের দাগ এবং প্লাক কমাতে সহায়ক এবং মুখের তাজা গন্ধ দেয়।
Regenerate Enamel Science Whitening Toothpaste উপাদান: রিজেনারেটিভ মিনারেলস (যা দাঁতের এনামেলকে পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে)। বৈশিষ্ট্য: এটি দাঁত সাদা করতে সহায়ক এবং একইসাথে দাঁতের এনামেলকে পুনরুদ্ধার করে। দাঁতের সুরক্ষা এবং শক্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। ফায়দা: দাঁতের এনামেল সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে এবং দাঁত সাদা রাখতে সহায়ক।
Close-Up Diamond Attraction Whitening উপাদান: ডায়মন্ড পাউডার, ফ্লুরাইড। বৈশিষ্ট্য: এটি দাঁতের সাদা করার জন্য একটি জনপ্রিয় টুথপেস্ট। এটি দাঁতে শক্তিশালী প্রভাব রেখে সাদা করতে সহায়তা করে। ফায়দা: ডায়মন্ড পাউডার ও ফ্লুরাইডের সাহায্যে দাঁত পরিষ্কার ও সাদা রাখে। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ।
Hello Oral Care Activated Charcoal Whitening Toothpaste উপাদান: অ্যাক্টিভেটেড চারকোল। বৈশিষ্ট্য: অ্যাক্টিভেটেড চারকোল দাঁত থেকে দাগ ও টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে দাঁত সাদা করতে সহায়তা করে। ফায়দা: এটি 100% প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে দাঁতের দাগ ও ময়লা পরিষ্কার করতে কার্যকর।
Tom’s of Maine Antiplaque and Whitening Toothpaste উপাদান: প্রাকৃতিক উপাদান যেমন বেকিং সোডা, মিন্ট। বৈশিষ্ট্য: এটি প্রাকৃতিকভাবে দাঁতের দাগ দূর করতে সহায়তা করে এবং দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফায়দা: এটি প্লাক এবং দাগ দূর করতে প্রাকৃতিকভাবে কার্যকর এবং ফ্লুরাইডসহ আসে।
দাঁত সাদা করার টুথপেস্ট ব্যবহারের পরামর্শ: যে কোনও সাদা করার টুথপেস্ট ব্যবহার করার আগে, তা আপনার দাঁতের জন্য উপযুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করতে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা জরুরি, তবে দাঁত সাদা করার টুথপেস্ট বেশি ব্যবহারে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সুতরাং, দিনে ২ বার ব্রাশ করার পরামর্শ দেয়া হয়। ঘরোয়া উপায় (যেমন বেকিং সোডা বা অ্যাক্টিভেটেড চারকোল) এবং সাদা করার পদ্ধতির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে চেষ্টা করুন। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন।
দাঁত সাদা করার উপায়
দাঁত সাদা করার উপায় দাঁত সাদা করার জন্য কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে যা আপনি ঘরোয়া উপায়ে বা ডেন্টিস্টের সাহায্যে অনুসরণ করতে পারেন। এখানে কিছু জনপ্রিয় এবং কার্যকর উপায়ের তালিকা দেওয়া হলো: নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা দাঁত সাদা রাখতে প্রথম পদক্ষেপ হল নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা।
দিনে ২ বার দাঁত ব্রাশ করুন, preferably সকালে এবং রাতে শোয়ার আগে। ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন, যা দাঁতের এনামেলকে সুরক্ষা দেয় এবং দাগ দূর করে। দাঁতের ফ্লস ব্যবহার করেও মুখের মধ্যে জমে থাকা ময়লা ও প্লাক দূর করুন। বেকিং সোডা ও লেবু উপকরণ: বেকিং সোডা, লেবুর রস। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন।
পদ্ধতি: বেকিং সোডার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং দাঁতে লাগিয়ে ১-২ মিনিট ঘষুন। কার্যকারিতা: বেকিং সোডা দাঁতের দাগ দূর করতে সাহায্য করে, আর লেবু প্রাকৃতিকভাবে দাঁতের সাদা করতে সহায়তা করে। তবে, লেবুর এসিড খুব বেশি ব্যবহার করা হলে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই এটি সাবধানে ব্যবহার করা উচিত।
অ্যাক্টিভেটেড চারকোল উপকরণ: এক টুকরো অ্যাক্টিভেটেড চারকোল (প্রাকৃতিক বা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত দোকানে পাওয়া যায়)। পদ্ধতি: অ্যাক্টিভেটেড চারকোলটি দাঁতে লাগিয়ে ১-২ মিনিট ঘষুন। কার্যকারিতা: অ্যাক্টিভেটেড চারকোল দাঁতের দাগ এবং টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে, যা দাঁত সাদা করার জন্য সহায়ক।
স্ট্রবেরি ও বেকিং সোডা উপকরণ: একটি স্ট্রবেরি, বেকিং সোডা। পদ্ধতি: স্ট্রবেরি চটকে বেকিং সোডার সাথে মিশিয়ে দাঁতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। কার্যকারিতা: স্ট্রবেরিতে থাকা ভিটামিন সি দাঁতের দাগ দূর করতে সহায়তা করে এবং বেকিং সোডা দাঁতের উপরের দাগ পরিষ্কার করে। ডেন্টাল স্কেলিং (Teeth Scaling)
দাঁত সাদা করার উপায়
পদ্ধতি: ডেন্টিস্ট দ্বারা দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁতের ওপর জমে থাকা প্লাক এবং টার্টার (দাঁতের পাথর) দূর হয়ে দাঁত সাদা ও পরিষ্কার হয়। কার্যকারিতা: স্কেলিং দাঁতের স্বাভাবিক রঙ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে এবং দাঁতের দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য বজায় রাখে। দাঁতের ব্লিচিং পদ্ধতি: দাঁতের ব্লিচিং একটি প্রফেশনাল পদ্ধতি।
যা ডেন্টিস্ট দ্বারা করা হয়। এই পদ্ধতিতে দাঁতের সাদা করার জন্য হালকা ব্লিচিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয়। কার্যকারিতা: এটি দাঁতের গা dark দাগ এবং হলুদভাব দূর করতে কার্যকর। তবে, এটি একাধিক সেশন প্রয়োজন হতে পারে এবং দাঁতের ইমেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মৌসুমী ফল এবং শাকসবজি খাওয়া উপকরণ: আপেল, গাজর, সেলারি। পদ্ধতি: এসব খাবার দাঁতের প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। খাওয়ার সময় দাঁত ঘষে পরিষ্কার হয়ে যায়, যা দাঁত সাদা রাখতে সাহায্য করে। কার্যকারিতা: এই সবজি ও ফল দাঁতের পৃষ্ঠকে পরিষ্কার রাখতে এবং দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
দাঁতের জন্য সঠিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করা পদ্ধতি: মাউথওয়াশ ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার রাখুন। কিছু মাউথওয়াশ দাঁতের দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং মুখের তাজা গন্ধ রাখে। কার্যকারিতা: এটি দাঁতে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে, যা দাগ সৃষ্টি করতে পারে। চা, কফি ও সোডা কম পান করা।
পদ্ধতি: চা, কফি এবং সোডার মতো পানীয়গুলো দাঁতে দাগ তৈরি করে। তাই এগুলি সীমিত পরিমাণে পান করা উচিত। কার্যকারিতা: এগুলো দাঁতের স্বাভাবিক রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ডেন্টিস্টের চেকআপ দাঁতের স্বাস্থ্য এবং সাদা রাখা বজায় রাখতে প্রতি ৬ মাসে একবার ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে চেকআপ করা উচিত।
এটি শুধু দাঁতের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে না, বরং দাঁতের কোনো সমস্যা চিহ্নিত করতে এবং চিকিৎসা নিতে সহায়ক হবে। কিছু সতর্কতা: অতিরিক্ত সাদা করার পদ্ধতি ব্যবহারে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অতএব, ঘরোয়া উপায়গুলো খুব বেশি ব্যবহার না করাই ভালো। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ।
ডেন্টিস্টের পরামর্শ ছাড়া ব্লিচিং বা স্কেলিং করানো উচিত নয়। কারণ এগুলো খুব শক্তিশালী পদ্ধতি এবং ভুলভাবে ব্যবহার করলে দাঁতের সমস্যা হতে পারে। এইসব উপায় নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার দাঁত সাদা এবং স্বাস্থ্যকর থাকতে সাহায্য করবে। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন।
দাঁত লাল হলে করণীয়
দাঁত লাল হলে করণীয় দাঁতের রঙ লাল হওয়া সাধারণত স্বাভাবিক নয় এবং এটি কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা বা অসুখের লক্ষণ হতে পারে। যদি আপনার দাঁত লাল হয়ে থাকে, তবে এটি নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্য হতে পারে: মাড়ির প্রদাহ (Gingivitis) বর্ণনা: মাড়িতে প্রদাহ হলে মাড়ির রঙ লাল হয়ে যায়।
এটি সাধারণত প্লাক এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। লক্ষণ: মাড়ির লালচে হওয়া, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, বা মাড়ির অস্বস্তি। সমাধান: নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা, ফ্লস ব্যবহার করা এবং ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া।পারিওডন্টাইটিস (Periodontitis) বর্ণনা: এটি একটি গুরুতর মাড়ির রোগ, যা মাড়ি এবং দাঁতের চারপাশে গভীর সংক্রমণ সৃষ্টি করে।
লক্ষণ: মাড়ির রঙ লাল, মাড়ি থেকে রক্তপাত, দাঁতের নড়বড়ে হওয়া। সমাধান: পারিওডন্টাইটিসের চিকিৎসা দ্রুত করা উচিত। এটি প্রফেশনাল ডেন্টাল চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা হয়। ডেন্টাল প্লাক এবং টার্টার (Plaque and Tartar) বর্ণনা: দাঁতে জমে থাকা প্লাক এবং টার্টার মাড়িতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
যা মাড়ির লাল হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। লক্ষণ: মাড়ি থেকে রক্তপাত, মাড়ির লালচে হওয়া। সমাধান: স্কেলিং এবং প্রফেশনাল দাঁত পরিষ্কারের মাধ্যমে প্লাক ও টার্টার দূর করতে হবে। নিয়মিত দন্তরোগ (Tooth Decay) বর্ণনা: দাঁতে গর্ত বা ক্ষয় হলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে গিয়ে মাড়ি প্রদাহিত হতে পারে।
ফলে মাড়ির রঙ লাল হয়ে যেতে পারে। লক্ষণ: দাঁতের ক্ষয়, মাড়িতে রক্তপাত বা ব্যথা। সমাধান: দাঁতের চিকিৎসা ও রুট ক্যানাল থেরাপি (যদি প্রয়োজন হয়) করা উচিত। বাড়তি টার্বো এবং দন্তযন্ত্র (Braces or Dental Appliances) বর্ণনা: দাঁতের ওপর ব্রেস বা অন্য কোনো দন্তযন্ত্র ব্যবহার করলে, যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা না করা হয়।
দাঁত লাল হলে করণীয়
তবে মাড়িতে প্রদাহ এবং রক্তপাত হতে পারে। লক্ষণ: মাড়ি লাল হওয়া এবং রক্ত পড়া। সমাধান: ব্রেস বা অন্যান্য দন্তযন্ত্রের যত্ন নিতে নিয়মিত ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) বর্ণনা: গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) বা এসিড রিফ্লাক্স থেকে এসিড মাড়ির উপর আসলে মাড়ির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
লক্ষণ: মাড়ির লাল হওয়া, দাঁতে টেস্ট বা এসিড অনুভূতি। সমাধান: চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। হরমোনাল পরিবর্তন বর্ণনা: গর্ভাবস্থা বা মেনোপজের সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মাড়ির প্রদাহ হতে পারে, যার ফলে মাড়ির রঙ লাল হয়ে যায়। লক্ষণ: গর্ভাবস্থায় বা মেনোপজের সময় মাড়ির লালচে হওয়া।
সমাধান: ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন এবং নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রাখুন। টোটাল স্বাস্থ্য সমস্যা বর্ণনা: রক্তের স্বল্পতা (অ্যানিমিয়া), ডায়াবেটিস, বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা মাড়ির রঙ লাল করার কারণ হতে পারে। লক্ষণ: অতিরিক্ত ক্লান্তি, খাওয়ার সময় অস্বস্তি, অথবা মাড়িতে ফুলে যাওয়া। সমাধান: চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময় করুন। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ।
আপনার করণীয়:
- নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন: দিনে ২ বার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
- ফ্লস ব্যবহার করুন: দাঁতের মাঝের অংশ পরিষ্কার করতে ফ্লস ব্যবহার করুন।
- ডেন্টিস্টের কাছে যান: যদি মাড়ির লালচে হওয়া বা অন্য কোনো সমস্যা থাকে, তবে দ্রুত ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন।
- হেলদি ডায়েট রাখুন: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন যাতে দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্য বজায় থাকে।
- ধূমপান বন্ধ করুন: ধূমপান মাড়ির প্রদাহ এবং দাঁতের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, তাই ধূমপান পরিহার করুন।
যদি আপনার মাড়ি লাল হয়ে থাকে এবং তা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তবে এটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডেন্টিস্ট এর পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন।
দাঁতের হলদে দাগ
দাঁতের হলদে দাগ দাঁতের হলদে দাগ হওয়া বেশ সাধারণ একটি সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এই দাগগুলি দাঁতের সৌন্দর্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। দাঁতের হলদে দাগের কিছু কারণ এবং তা দূর করার উপায় নিচে দেওয়া হল: দাঁতের হলদে দাগের কারণ খাবার ও পানীয়। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন।
চা, কফি, সোডা: এই পানীয়গুলো দাঁতে দাগ তৈরি করতে পারে, বিশেষত যখন বেশি খাওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে থাকা ট্যানিন দাঁতের উপর দাগ ফেলে। ওয়াইন: রেড ওয়াইনেও থাকে ট্যানিন এবং অ্যাসিড, যা দাঁতের ওপর দাগ ফেলতে পারে। বেরি ফল (যেমন ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি): এই ফলগুলোতে অ্যান্টিসেনসিটিভ উপাদান থাকে যা দাঁতে দাগ ফেলতে পারে।
ধূমপান বা তামাক ব্যবহার সিগারেট বা তামাক ব্যবহারে দাঁতের হলুদ হওয়া খুবই সাধারণ। তামাকে থাকা নিকোটিন এবং টার রঙ পরিবর্তন করতে পারে এবং দাঁতে স্থায়ী দাগ সৃষ্টি করতে পারে। বয়স বাড়ানোর সাথে সাথে দাঁতের এনামেল পাতলা হতে থাকে, ফলে দাঁতের নীচের স্তরের হলুদ ডেন্টিন প্রকাশ পায়।
এই কারণে দাঁত বয়সের সাথে হলুদ বা গা dark ় হতে পারে। অপর্যাপ্ত দাঁত পরিষ্কার করা দাঁত সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে প্লাক এবং টার্টার জমে যায়, যা দাঁতের হলুদ দাগ সৃষ্টি করে। প্লাক জমা হলে তা কঠিন হয়ে টার্টারে পরিণত হয় এবং এতে দাঁতের গা dark দাগ হতে পারে। ফ্লুরাইডের অতিরিক্ত ব্যবহার
শিশুর দাঁতে অতিরিক্ত ফ্লুরাইড ব্যবহারের কারণে দাঁতে ফ্লুরোসিস হতে পারে, যা দাঁতের উপর সাদা বা হলুদ দাগ তৈরি করে। অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য ওষুধ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক যেমন টেট্রাসাইক্লিন দাঁতের হলুদ বা বাদামী দাগ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, কিছু রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধও দাঁতের রঙ পরিবর্তন করতে পারে।
দাঁতের ক্ষয় বা মাড়ির অসুখ দাঁতের কোনো অংশ ক্ষয় হয়ে গেলে দাঁত হলুদ হতে পারে, কারণ দাঁতের ভিতরের স্তর (ডেন্টিন) দৃশ্যমান হয়ে পড়ে। দাঁতের হলুদ দাগ দূর করার উপায় নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা প্রতিদিন ২ বার দাঁত ব্রাশ করুন, যাতে খাবার বা পানীয় থেকে জমে থাকা দাগ দূর হয়। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ।
দাঁতের হলদে দাগ
ফ্লুরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করুন যা দাঁত পরিষ্কার করে এবং দাগ কমাতে সাহায্য করে। ফ্লস ব্যবহার করুন দাঁতের মাঝে জমে থাকা ময়লা, প্লাক এবং দাগ দূর করতে ফ্লস ব্যবহার করুন। এটি দাঁতের সুস্থতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বেকিং সোডা ব্যবহার বেকিং সোডা একটি প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে যা দাঁত পরিষ্কার করে এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
একটি ছোট পরিমাণ বেকিং সোডা নিন এবং তার সাথে পানি মিশিয়ে দাঁতে লাগিয়ে ব্রাশ করুন। তবে, অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন, কারণ এটি দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ডেন্টাল স্কেলিং ডেন্টাল স্কেলিং দ্বারা দাঁতের উপর জমে থাকা প্লাক এবং টার্টার পরিষ্কার করা হয়। এটি একটি প্রফেশনাল প্রক্রিয়া
যা দাঁতের দাগ ও টার্টার দূর করতে সাহায্য করে। ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে প্রতি ৬ মাসে একবার স্কেলিং করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। অ্যাক্টিভেটেড চারকোল অ্যাক্টিভেটেড চারকোল দাঁতের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এটি দাঁতের উপর থেকে ময়লা এবং দাগ শোষণ করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন।
কারণ অতিরিক্ত ব্যবহার দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। হোম ব্লিচিং কিট বাজারে কিছু হোম ব্লিচিং কিট পাওয়া যায় যা দাঁত সাদা করতে সহায়তা করে। তবে, এগুলি ব্যবহারের আগে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সামান্য খাদ্য পরিবর্তন কিছু খাবার যেমন আপেল, গাজর, সেলারি দাঁত পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন।
কারণ এগুলি দাঁতের পৃষ্ঠে ঘষে ময়লা ও দাগ দূর করতে সাহায্য করে। পানীয় হিসেবে বেশি পানি পান করুন, যা মুখে অল্প পরিমাণ অ্যাসিড থাকার কারণে দাঁতের দাগ কমাতে সহায়ক। ডেন্টিস্টের সাহায্য নিন দাঁতের দাগ খুবই দৃশ্যমান বা স্থায়ী হয়ে গেলে, ডেন্টিস্টের সাহায্য নিন। তারা আপনার দাঁত ব্লিচিং,
স্কেলিং অথবা প্রফেশনাল পদ্ধতিতে সাদা করার জন্য সাহায্য করতে পারেন। দাঁতের হলুদ দাগ থেকে প্রতিরোধ: চা, কফি, সোডা বা তামাক ব্যবহারের পর মুখে পানি দিয়ে কুলি করুন। দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি নিয়মিত ফ্লস ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং পানীয় গ্রহণ করুন যাতে দাঁতের দাগ না পড়ে। আপনার যদি দাঁতে গুরুতর দাগ থাকে বা সমস্যা চলতে থাকে, তবে দ্রুত ডেন্টিস্ট এর পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁত পাথর পরিষ্কার করার উপায়
দাঁত পাথর পরিষ্কার করার উপায় দাঁতের পাথর বা টার্টার হল দাঁতে জমে থাকা শক্ত প্লাক, যা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে শক্ত হয়ে দাঁতে পাথরের মতো জমে যায়। এই দাঁতের পাথর সাধারণত মাড়ির লালচে হওয়া, রক্তপাত, কিংবা দাঁতের গা dark ় দাগের কারণ হয়ে থাকে। দাঁত পরিষ্কার করা বা টার্টার দূর করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
দাঁত পাথর পরিষ্কার করার উপায় ডেন্টাল স্কেলিং (Teeth Scaling) পদ্ধতি: ডেন্টিস্টরা দাঁতের উপর জমে থাকা টার্টার বা পাথর পরিষ্কার করতে স্কেলিং পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এতে বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে দাঁত এবং মাড়ির নিচে জমে থাকা প্লাক এবং টার্টার দূর করা হয়। কার্যকারিতা: এটি দাঁতের গভীরে জমে থাকা কঠিন টার্টার পরিষ্কার করতে সক্ষম এবং মাড়ির প্রদাহও কমায়।
রুট প্লানিং (Root Planing) পদ্ধতি: স্কেলিংয়ের সাথে একত্রে ডেন্টিস্টরা রুট প্লানিং করেন। এতে দাঁতের রুটের নিচে জমে থাকা টার্টার এবং প্লাক পরিষ্কার করা হয়, যা সাধারণ স্কেলিংয়ের মাধ্যমে সম্ভব হয় না। কার্যকারিতা: এটি মাড়ির প্রদাহ কমায় এবং দাঁত ও মাড়ির মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখে। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ।
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা পদ্ধতি: দাঁত নিয়মিত এবং সঠিকভাবে ব্রাশ করলে প্লাক জমতে কম সুযোগ পায়, যা টার্টারে পরিণত হতে পারে। দিনে ২ বার দাঁত ব্রাশ করুন, preferably সকালে এবং রাতে শোয়ার আগে। টিপ: ফ্লুরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করুন এবং টুথব্রাশের সঠিক উপায় শিখে ব্যবহার করুন।
ফ্লস ব্যবহার করা মপদ্ধতি: দাঁতের মাঝখানে এবং মাড়ির লাইনে জমে থাকা খাবারের টুকরো ও প্লাক পরিষ্কার করতে ফ্লস ব্যবহার করুন। এতে দাঁতে জমে থাকা ময়লা বা খাবারের অংশ সহজে বের হয়ে যায়। টিপ: ফ্লস করার সময় সাবধানে কাজ করুন যাতে মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ রোগের নাম যেনে রাখুন।
বেকিং সোডা ব্যবহার পদ্ধতি: বেকিং সোডা দাঁত পরিষ্কারের একটি প্রাকৃতিক উপায়। এটি দাঁতের পৃষ্ঠ পরিষ্কার করতে সহায়তা করে এবং কিছুটা দাগও পরিষ্কার করে। এক চিমটি বেকিং সোডা নিয়ে মিঠা পানির সাথে মিশিয়ে দাঁতে লাগান এবং ব্রাশ করুন। কার্যকারিতা: এটি দাঁতের উপর জমে থাকা নরম প্লাক পরিষ্কার করে।
দাঁত পাথর পরিষ্কার করার উপায়
তবে টার্টার দূর করতে এটি খুব কার্যকরী নয়। অ্যাক্টিভেটেড চারকোল ব্যবহার পদ্ধতি: অ্যাক্টিভেটেড চারকোল একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা দাঁত পরিষ্কার করতে ব্যবহৃত হয়। এটি দাঁতের উপর জমে থাকা ময়লা এবং টার্টার শোষণ করতে সাহায্য করে। সতর্কতা: অ্যাক্টিভেটেড চারকোল ব্যবহারের পর দাঁত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
কারণ এটি খুব শক্ত হওয়ায় অতিরিক্ত ব্যবহার দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাউথওয়াশ ব্যবহার পদ্ধতি: কিছু মাউথওয়াশ রয়েছে যা দাঁতে জমে থাকা প্লাক দূর করতে সহায়তা করে এবং মুখের তাজা গন্ধ ধরে রাখে। টিপ: মাউথওয়াশ ব্যবহারের পর দাঁত ব্রাশ করা আরও কার্যকর হতে পারে, কারণ এটি দাঁতে প্লাক জমতে বাধা দেয়।
প্রাকৃতিক উপায় (এশ, আদা ও লবণ) পদ্ধতি: আদা ও লবণ একত্রিত করে দাঁতে মিশিয়ে ঘষলে তা দাঁতের ওপর জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। কার্যকারিতা: আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যা মাড়ির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, এবং লবণ প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে।
ডেন্টাল কিট ব্যবহার পদ্ধতি: কিছু বিশেষ ডেন্টাল কিট বাজারে পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে আপনি বাড়িতে দাঁতের স্কেলিং করতে পারেন। তবে এগুলি পেশাদারভাবে ব্যবহার করা উচিত, এবং ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া ভালো। প্লাক এবং টার্টার জমা থেকে বিরত থাকার উপায় নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করুন:
দিনে ২ বার দাঁত ব্রাশ করা, এবং মাঝে মাঝে ফ্লস ব্যবহার করা জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন: বেশি চিনি, তেল বা অ্যাসিডিক খাবার থেকে বিরত থাকুন। পানি বেশি পান করুন: পানি পান করার মাধ্যমে মুখে থাকা অতিরিক্ত এসিড ও ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে যায়, যা দাঁতের ক্ষতি কমাতে সহায়তা করে।
ধূমপান পরিহার করুন: ধূমপান দাঁতের সমস্যা এবং মাড়ির রোগ সৃষ্টি করে, যার ফলে টার্টার জমে। সতর্কতা: দাঁতে পাথর বা টার্টার থাকলে বাড়িতে পরিষ্কার করার চেষ্টা করতে হবে, কিন্তু পেশাদার স্কেলিং এবং ডেন্টিস্টের পরামর্শ ছাড়া এই সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হতে পারে না। টার্টার যদি বেশী জমে যায়, তবে এটি দাঁতের ক্ষতি এবং মাড়ির সমস্যার কারণ হতে পারে, তাই ডেন্টিস্টের সাহায্য নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল আপনাদের সাথে আলোচনা মুখ্য বিষয় ছিল দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ সাথে আরো আলোচনা করেছি দাঁতের রোগের নাম পরিপূর্ণ বিবরণ সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে।
আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, এবং কোন কোন বিষয়গুলি আপনার ভালো লেগেছে আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষানীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন, আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রোকন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url