লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে জেনে রাখুন
লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আর সঠিক তথ্য পেতে এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখতে আরো লাহোর প্রস্তাবের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে লাহোর প্রস্তাবের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে নিচের আর্টিকেলগুলি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু বুঝতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
- লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে
- লাহোর প্রস্তাবের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
- লাহোর প্রস্তাব কী এর প্রতিপাদ্য বিষয়
- কে কবে এবং কোথায় লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন
- লাহোর প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল
- লাহোর প্রস্তাবের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ নিহিত ছিল
- লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব ও ফলাফল
- লাহোর প্রস্তাবের ফলাফল
- লাহোর প্রস্তাব কি
- লেখক এর মতামত
লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে
লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে লাহোর প্রস্তাব ১৯৪০ সালে All India Muslim League এর নেতা এবং পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ উত্থাপন করেছিলেন। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ভিত্তি রচিত হয়, যেখানে মুসলিমদের জন্য পৃথক একটি রাষ্ট্রের দাবি তোলা হয়েছিল। এটি লাহোর সম্মেলনে পাস হয়, যা ২৩ মার্চ ১৯৪০ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।
লাহোর প্রস্তাবের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
লাহোর প্রস্তাবের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি লাহোর প্রস্তাব, যা ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগের লাহোর সম্মেলনে পাস হয়, তার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো ছিল: পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবী: এই প্রস্তাবে মুসলিম লীগ মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তুলেছিল। এটি ছিল ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি স্বাধীন ও স্বশাসিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রথম আনুষ্ঠানিক দাবি।
পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র: প্রস্তাবের মূল ধারণা ছিল যে, ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের জন্য বিশেষ অঞ্চল নির্ধারণ করা হবে, যেখানে তারা নিজেদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন পরিচালনা করবে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলসমূহের একীভূতকরণ: প্রস্তাবটি বলেছিল যে, লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে।
ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে (যেমন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চল) পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এটি ছিল মূলত বর্তমান পাকিস্তানের জন্য একটি ভিত্তি তৈরি করার প্রস্তাব। অখণ্ডতা ও পূর্ণ স্বশাসন: মুসলিম লীগ দাবি করেছিল যে, মুসলিমদের জন্য পৃথক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারা সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ও স্বশাসনের অধিকারী হবে।
সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষা: লাহোর প্রস্তাবে মুসলিমদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায় (যেমন হিন্দু, শিখ, ইত্যাদি) এর অধিকার সুরক্ষিত করার জন্যও উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এই প্রস্তাবটি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে পরিগণিত হয় এবং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত।
লাহোর প্রস্তাব কী এর প্রতিপাদ্য বিষয়
লাহোর প্রস্তাব কী এর প্রতিপাদ্য বিষয় লাহোর প্রস্তাব (১৯৪০) এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ভারতের মুসলিমদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের দাবী। এর মূল লক্ষ্য ছিল মুসলিমদের জন্য একটি স্বাধীন ও স্বশাসিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যা পরে পাকিস্তান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রস্তাবটির প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল:
মুসলিমদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র: প্রস্তাবটি দাবি করেছিল যে, ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে, যেটি তাদের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলসমূহের একীভূতকরণ: প্রস্তাবে বলা হয়েছিল যে,
ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলো (যেমন উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চল) একত্রিত হয়ে একটি নতুন রাষ্ট্র গঠন করবে, যা মুসলিমদের জন্য স্বাধীনতা এবং স্বশাসন নিশ্চিত করবে। সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষা: মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির (যেমন হিন্দু, শিখ, ইত্যাদি)
অধিকার সুরক্ষিত থাকবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ ছিল। লাহোর প্রস্তাব ভারতের মুসলিমদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ভিত্তি তৈরি করেছিল, যা পরবর্তীতে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠায় রূপান্তরিত হয়। লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে।
কে কবে এবং কোথায় লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন
কে কবে এবং কোথায় লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন লাহোর প্রস্তাব ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উত্থাপন করেছিলেন, যা লাহোর শহরের ঐতিহাসিক লাহোর সম্মেলন (All India Muslim League Conference) এ পাস হয়। এটি ছিল মুসলিম লীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যেখানে
মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তোলা হয়। এই প্রস্তাবটি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ ছিল। লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে।
লাহোর প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল
লাহোর প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল লাহোর প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতের মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এটি মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে ১৯৪০ সালে উত্থাপন করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে তারা ভারতের মুসলিম জনগণের জন্য একটি আলাদা ও স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানিয়েছিল। লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে।
প্রস্তাবটির মূল উদ্দেশ্য ছিল: মুসলিমদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা: মুসলিম লীগের লক্ষ্য ছিল যে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে (যেমন, উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চল) পৃথক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এটি ছিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রথম আনুষ্ঠানিক দাবি। রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও স্বশাসন: মুসলিমরা নিজেদের সাংস্কৃতিক,
ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক অধিকার রক্ষার জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র চেয়েছিল, যাতে তারা নিজেদের শাসন ও উন্নয়ন করতে পারে। মুসলিমদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষা: হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের উত্তেজনা এবং মুসলিমদের সংখ্যালঘু অবস্থান থেকে রক্ষা পেতে এই প্রস্তাবে মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবি করা হয়েছিল। এটি ছিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পথে প্রথম বড় পদক্ষেপ, যা পরে ১৯৪৭ সালে বাস্তবায়িত হয়।
লাহোর প্রস্তাবের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ নিহিত ছিল
লাহোর প্রস্তাবের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ নিহিত ছিল হ্যাঁ, লাহোর প্রস্তাবের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ নিহিত ছিল। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব ছিল মূলত পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিম লীগের দাবি, কিন্তু এর মধ্যে এমন কিছু ধারণা ছিল যা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথও তৈরি করেছিল।
লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে উত্থাপিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: পৃথক রাষ্ট্রের ধারণা: লাহোর প্রস্তাবে মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি করা হয়েছিল। প্রস্তাবটি মূলত উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলকে নিয়ে একটি নতুন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিল, যা পরবর্তীতে পাকিস্তান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
এই "পাকিস্তান" এর মধ্যে পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) এবং পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের ভূমিকা: লাহোর প্রস্তাবে বলা হয়েছিল যে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে। পূর্ব পাকিস্তান ছিল ওই সময়ের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল, যেখানে বাংলাভাষী মুসলিমরা বসবাস করতেন।
তাই, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিমদের জন্য একটি আলাদা রাজ্য প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, যা পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে পূর্ণতা পায়। পাকিস্তান গঠন এবং বাংলাদেশ: পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরেও পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) এবং পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং রাজনৈতিক অমিল ছিল, যা অবশেষে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পটভূমি তৈরি করেছিল।
লাহোর প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, তবে এই প্রস্তাবের মধ্যে যে পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ধারণা ছিল, তা পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। সুতরাং, লাহোর প্রস্তাবের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ নিহিত ছিল, যা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আলাদা হওয়ার পটভূমি তৈরি করেছিল। লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে।
লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব ও ফলাফল
লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব ও ফলাফল লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব এবং এর ফলাফল ভারতের ইতিহাস এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটি মুসলিম লীগের পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছিল এবং পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক গঠনকে আমূল বদলে দেয়।
লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব: পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ভিত্তি: লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে মুসলিম লীগ প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের মুসলিমদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্রের দাবি তোলেন। এই প্রস্তাবটি ছিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রথম শাসনাত্মক পদক্ষেপ। এটি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি রচনা করে।
মুসলিম সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক অগ্রগতি: মুসলিমদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি মুসলিম সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক অধিকার এবং তাদের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার পক্ষে এক উল্লেখযোগ্য দাবি ছিল। এর মাধ্যমে মুসলিমরা নিজেদের জন্য একটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয় প্রতিষ্ঠা করার পথ পেয়েছিল।
হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের বদলে যাওয়া: লাহোর প্রস্তাবের পর ভারতীয় রাজনীতিতে মুসলিমদের আলাদা পরিচয় ও রাষ্ট্রের দাবি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যা হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের গতি পাল্টে দেয়। এর ফলে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন আরও তীব্র হয় এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ে। লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে।
পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) আলাদা ভূমিকায় আগমন: লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে পাকিস্তান গঠনের প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল, যেখানে পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আলাদা হয়ে যায়, লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের ভূমিকা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।
লাহোর প্রস্তাবের ফলাফল
লাহোর প্রস্তাবের ফলাফল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা: লাহোর প্রস্তাবের ফলে মুসলিম লীগকে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ সমর্থন লাভ হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের মাধ্যমে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং এটি মুসলিম লীগের মূল লক্ষ্য অর্জন হয়।
ভারতের রাজনৈতিক বিভाजन: লাহোর প্রস্তাবের ফলস্বরূপ, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজিত হয়ে পাকিস্তান এবং ভারত দুটি পৃথক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। এটি ভারতের রাজনীতিতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল, কারণ এই বিভাজন জাতিগত, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক দিক থেকে ব্যাপক পরিবর্তন আনায়।
পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান মধ্যে উত্তেজনা: পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরেও পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) এবং পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) এর মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বৈষম্য দেখা দেয়, যা পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ এ পরিণত হয়।
মুসলিম লীগের নেতৃত্ব শক্তিশালী হওয়া: লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে মুসলিম লীগ তার রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠা করে এবং মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়ায়। মুসলিম লীগ আরও একত্রীকৃতভাবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করে। লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে।
লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবির মধ্যে, যা পরবর্তীতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে। এটি একটি ঐতিহাসিক প্রস্তাব ছিল, যা শুধু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্যই নয়, ভারতীয় রাজনীতির পুরো দৃশ্যপটকেই পরিবর্তন করে দিয়েছিল।
লাহোর প্রস্তাব কি
লাহোর প্রস্তাব কি লাহোর প্রস্তাব ছিল ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগ এর লাহোর সম্মেলনে উত্থাপিত একটি ঐতিহাসিক প্রস্তাব, যা ভারতের মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তোলা হয়েছিল। প্রস্তাবটি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম আনুষ্ঠানিক দাবি ছিল। লাহোর প্রস্তাবের মূল বিষয়বস্তু:
পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবী: প্রস্তাবের মাধ্যমে মুসলিম লীগের নেতা মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছিলেন। এই রাষ্ট্রটি মূলত ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে গঠিত হবে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোর একীভূতকরণ: প্রস্তাবে বলা হয়েছিল যে,
ভারতের উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে একত্রিত হয়ে একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে এটি পাকিস্তান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা ও স্বশাসন: প্রস্তাবে মুসলিমদের জন্য রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং স্বশাসনের দাবি জানানো হয়েছিল, যাতে তারা নিজেদের ধর্মীয়,
সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা করতে পারে। সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষা: মুসলিমদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের (যেমন হিন্দু, শিখ, ইত্যাদি) অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্যও প্রস্তাবে উল্লেখ ছিল। লাহোর প্রস্তাবের গুরুত্ব: এটি ছিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রথম আনুষ্ঠানিক দাবি, এবং এর ভিত্তিতেই পরবর্তীতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হয়।
এই প্রস্তাব ভারতের হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটায় এবং ভারতের বিভাজন (১৯৪৭) ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করে। এটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে পরিগণিত। লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে।
লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল আপনাদের সাথে আলোচনা মুখ্য বিষয় ছিল লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন কে সাথে আরো আলোচনা করেছি লাহোর প্রস্তাবের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি পরিপূর্ণ বিবরণ সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে।
আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, এবং কোন কোন বিষয়গুলি আপনার ভালো লেগেছে আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষানীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন, আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রোকন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url