অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়
অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয় এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আর সঠিক তথ্য পেতে এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখতে আরো মাসিক কত দিন থাকা ভালো এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয় মাসিক কত দিন থাকা ভালো এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে নিচের আর্টিকেলগুলি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু বুঝতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
- অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়
- মাসিক কত দিন থাকা ভালো
- অনিয়মিত মাসিক হলে কি বাচ্চা হয়
- মাসে ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ
- পিরিয়ড কত দিন থাকে
- ঘন ঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি
- পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে কি ঔষধ
- মাসিক বন্ধ না হলে করনীয়
- হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ
- লেখক এর মতামত
অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়
অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয় অনিয়মিত মাসিক (অর্থাৎ, যেগুলি নিয়মিত সময়ে না হয়ে সময়ে সময়ে হয়ে থাকে) সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে, তবে এটি ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও অন্যান্য কারণে পরিবর্তিত হতে পারে।
যদি মাসিক নিয়মিত না হয়, এবং যদি তা ৩৫ দিনের মধ্যে না আসে বা ২১ দিনের কম হয়, তবে এটি অনিয়মিত হিসেবে বিবেচিত হয়। অনিয়মিত মাসিক হতে পারে বিভিন্ন কারণে, যেমন: হরমোনাল অস্বাভাবিকতা স্ট্রেস খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন শারীরিক ওজনের পরিবর্তন থাইরয়েড সমস্যার কারণে
যদি মাসিকের মধ্যে বড় ধরনের অনিয়ম বা অসুবিধা থাকে, তবে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
মাসিক কত দিন থাকা ভালো
মাসিক কত দিন থাকা ভালো সাধারণভাবে, মাসিক চলার সময় গড়ে ৩-৭ দিন থাকে, তবে এটি কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। একজন নারীর মাসিকের দিন সংখ্যা তার শারীরিক অবস্থা, বয়স, এবং অন্যান্য কিছু কারণে ভিন্ন হতে পারে। নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সাধারণ নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হয়: অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়।
অবস্থান: সাধারণভাবে, ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত মাসিক হওয়া স্বাভাবিক। যদি মাসিক ৩ দিনের কম বা ৭ দিনের বেশি সময় ধরে চলে, তবে সেটি অস্বাভাবিক হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রবাহ: মাসিকের প্রবাহের শক্তি (হালকা, মাঝারি, বা ভারী) সাধারণত প্রথম ২-৩ দিন বেশি থাকে এবং পরবর্তীতে কমে যায়।
স্বাস্থ্য সমস্যা: যদি মাসিক খুব দীর্ঘ বা অস্বাভাবিক রক্তস্রাবের সাথে হয়, যেমন অতিরিক্ত রক্তপাত বা অতিরিক্ত ব্যথা, তবে এটি স্বাস্থ্যগত সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে, যেমন হরমোনের সমস্যা, ফাইব্রয়েড বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS)। এছাড়াও, যদি মাসিক ২৮ দিনের মধ্যে না আসে বা অনিয়মিত হয়, বা মাসিক খুব কম বা খুব বেশি সময় ধরে চলে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
অনিয়মিত মাসিক হলে কি বাচ্চা হয়
অনিয়মিত মাসিক হলে কি বাচ্চা হয় অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা কম হতে পারে, তবে এটি একেবারেই অসম্ভব নয়। অনিয়মিত মাসিকের পেছনে সাধারণত কিছু শারীরিক বা হরমোনাল সমস্যা থাকতে পারে, যা প্রজনন প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। অনিয়মিত মাসিকের কিছু সাধারণ কারণ:
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS): এই অবস্থায় ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট হতে পারে, যা মাসিকের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং ovulation (ডিম্বাণু নির্গমন) নিয়মিত হয় না। এর ফলে প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা কমে যায়। থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থির অতিরিক্ত বা অপ্রতুল কার্যকলাপ মাসিকের অনিয়মিততা সৃষ্টি করতে পারে, যা প্রজননক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
হরমোনের অস্বাভাবিকতা: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মাসিক অনিয়মিত হতে পারে এবং এর মাধ্যমে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত স্ট্রেস বা জীবনযাত্রার সমস্যা: মানসিক চাপ বা খারাপ জীবনযাত্রার কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে, যা প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে, অনিয়মিত মাসিকের সময় গর্ভধারণ সম্ভব হলেও, এটি একটু চ্যালেঞ্জিং হতে পারে কারণ ডিম্বাণু নির্গমন (ovulation) নিয়মিত হয় না। ডিম্বাণু নির্গমন না হলে গর্ভধারণ হওয়া কঠিন। গর্ভধারণের জন্য কিছু পরামর্শ: চিকিৎসকের পরামর্শ: মাসিকের অনিয়মিততার পেছনে কোন underlying সমস্যা আছে।
কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য গাইনোকোলজিস্ট বা এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নেয়া উচিত।স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা: সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক চাপ কমানো গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। হরমোনাল চিকিৎসা: কখনও কখনও হরমোনাল চিকিৎসা।
যেমন পিল বা অন্য কোনও চিকিৎসার মাধ্যমে মাসিক নিয়মিত করা যেতে পারে, যা গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এতদূর বলার পর, যদি মাসিকের সমস্যা অব্যাহত থাকে বা গর্ভধারণে সমস্যা হয়, তবে একজন গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়।
মাসে ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ
মাসে ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ মাসে ২-৩ বার মাসিক হওয়া (অর্থাৎ, এক মাসে ২ বা ৩ বার রক্তপাত হওয়া) একটি অস্বাভাবিক অবস্থাকে নির্দেশ করে এবং এটি স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে। এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন: হরমোনাল অস্বাভাবিকতা।
এস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের ভারসাম্যহীনতা: এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মাসিকের সময় এবং ঘনত্বে পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যার ফলে মাসে ২-৩ বার মাসিক হতে পারে। থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক কার্যকলাপ (কম বা বেশি) মাসিকের অনিয়মিততার কারণ হতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) PCOS-এ ডিম্বাশয়ে ছোট সিস্ট তৈরি হতে পারে, যা মাসিকের সময়ে পরিবর্তন ঘটায় এবং মাসিকের গড় সময়ের থেকে বেশি বা কম হতে পারে। মিনোপজ বা পারি-মিনোপজ ৪০-৫০ বছরের মহিলাদের মধ্যে যখন হরমোনের পরিবর্তন শুরু হয়, তখন এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এর ফলে মাসিকের অনিয়ম এবং ঘন ঘন মাসিক হতে পারে। গর্ভাবস্থা বা গর্ভপাত কখনও কখনও গর্ভধারণের প্রথম দিকে রক্তপাত হতে পারে, যা ভুলক্রমে মাসিকের মতো মনে হতে পারে। গর্ভপাতের কারণে বা গর্ভধারণের প্রথম দিকে রক্তপাতও হতে পারে। ইউটেরাস বা জরায়ুর সমস্যা।
ফাইব্রয়েড বা পলিপ: জরায়ুর ভিতরে বা বাইরের ফাইব্রয়েড (গোটা বা ছোট কিউবের মতো টিউমার) বা পলিপ (সাংকোচন) মাসিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার কারণে অতিরিক্ত রক্তপাত বা ঘন ঘন মাসিক হতে পারে। ইনফেকশন: জরায়ু বা ডিম্বাশয়ে কোনও সংক্রমণ (যেমন: পাইলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ) মাসিকের অনিয়ম সৃষ্টি করতে পারে।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন অতিরিক্ত শারীরিক চাপ, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, বা মানসিক চাপও মাসিকের অনিয়মিততা তৈরি করতে পারে। ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিশেষ কিছু ঔষধ (যেমন, গর্ভনিরোধক পিল) মাসিকের সময় ও ঘনত্বে পরিবর্তন ঘটাতে পারে। কবে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
মাসে ২-৩ বার মাসিক হলে, বিশেষত যদি তা অতিরিক্ত রক্তপাত বা যন্ত্রণাদায়ক হয়, তবে এটি একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গাইনোকোলজিস্ট বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা নির্ধারণ করতে সহায়ক হবেন। অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়।
পিরিয়ড কত দিন থাকে
পিরিয়ড কত দিন থাকে সাধারণভাবে, পিরিয়ড (মাসিক) ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত থাকে। তবে এটি প্রত্যেক নারীর শরীরের উপর নির্ভর করে এবং কিছু ভিন্নতাও থাকতে পারে। অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়।
পিরিয়ডের গড় সময়:
- গড় সময়: প্রায় ৩ থেকে ৭ দিন।
- কম সময়: কিছু মহিলার পিরিয়ড ২-৩ দিন পর্যন্ত চলে।
বেশি সময়: কিছু মহিলার পিরিয়ড ৭ দিনের বেশি সময় ধরে চলে, যা স্বাভাবিক হতে পারে তবে যদি তা অত্যধিক রক্তপাত বা অসুবিধার সাথে হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পিরিয়ডের সময়ের পরিবর্তন হতে পারে: মাসিকের প্রথম দিন: সাধারণত প্রথম দিনে রক্তপাত বেশি থাকে এবং তারপর কমে যায়।
মাসিকের শেষ দিন: পিরিয়ডের শেষের দিকে রক্তপাত হালকা হয়ে আসে। যদি আপনার পিরিয়ডের সময় বা ঘনত্বে অস্বাভাবিক কিছু ঘটে (যেমন অতিরিক্ত ব্যথা, খুব বেশি রক্তপাত বা খুব কম সময়), তবে এটি স্বাস্থ্যগত সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ঘন ঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি
ঘন ঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি ঘন ঘন মাসিক হওয়ার (অথবা মাসে ২-৩ বার মাসিক হওয়া) বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত কারণে হতে পারে। এটি সাধারণত অস্বাভাবিক মাসিক হিসেবে গণ্য হয়, এবং এর পেছনে কিছু শারীরিক বা হরমোনাল সমস্যা থাকতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হলো:
হরমোনাল অস্বাভাবিকতা এস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোনের এই দুটি মূল উপাদানের ভারসাম্যহীনতা মাসিকের সময় এবং ঘনত্বের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে মাসিকের অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা (যেমন, হাইপোথাইরয়ডিজম বা হাইপারথাইরয়ডিজম)
মাসিকের অনিয়ম এবং ঘন ঘন মাসিকের কারণ হতে পারে। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) এই অবস্থায় ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়, যা মাসিকের নিয়মিততা ব্যাহত করে এবং অনেক সময় মাসিকের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফাইব্রয়েড বা জরায়ুর সমস্যা। অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়।
ফাইব্রয়েড (Fibroids): জরায়ুর মধ্যে বা বাইরের সিস্ট বা টিউমারের মতো ফাইব্রয়েড মাসিকের ঘনত্ব এবং সময়ে পরিবর্তন আনতে পারে। এর ফলে অতিরিক্ত রক্তপাত বা ঘন ঘন মাসিক হতে পারে। পলিপ (Polyps): জরায়ু বা সারভিক্সে পলিপের কারণে রক্তপাত হতে পারে, যা মাসিকের মতো অনুভূত হতে পারে।
গর্ভাবস্থা বা গর্ভপাত গর্ভধারণের প্রথমদিকে রক্তপাত বা গর্ভপাতের কারণে কখনও কখনও মাসিকের মতো রক্তপাত হতে পারে, যা গর্ভাবস্থার সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। মানসিক চাপ বা জীবনযাত্রার সমস্যা অতিরিক্ত মানসিক চাপ, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, বা জীবনযাত্রার অস্বাভাবিকতা (যেমন অধিক শারীরিক পরিশ্রম, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া) মাসিকের সময় এবং ঘনত্বে পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
মিনোপজ বা পারি-মিনোপজ ৪০-৫০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে যখন হরমোনের পরিবর্তন শুরু হয়, তখন মাসিকের ঘনত্ব এবং সময়ে পরিবর্তন হতে পারে, যার ফলে মাসে ২ বা ৩ বার মাসিক হতে পারে।ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গর্ভনিরোধক পিল বা অন্যান্য হরমোনাল চিকিৎসা ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাসিকের অনিয়ম ঘটতে পারে।
বিশেষ কিছু ঔষধ (যেমন, রক্ত জমাট বাঁধার ঔষধ) মাসিকের প্রভাব ফেলতে পারে। কবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত? যদি আপনি মাসে ২ বা ৩ বার মাসিক পান এবং এটি অতিরিক্ত ব্যথা বা রক্তপাতের সাথে হয়, তাহলে এটি একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে এবং আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গাইনোকোলজিস্ট সঠিক পরীক্ষার মাধ্যমে সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারবেন।
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে কি ঔষধ
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে কি ঔষধ যদি পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, তবে এটি সাধারণত একটি অস্বাভাবিক অবস্থার প্রতীক হতে পারে এবং এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পিরিয়ডের অতিরিক্ত দীর্ঘস্থায়ীতা বা অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে একাধিক কারণে, যেমন হরমোনের অস্বাভাবিকতা, জরায়ুর সমস্যা, বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা।
সাধারণ কারণ: ফাইব্রয়েড বা পলিপ: জরায়ু বা সার্ভিক্সে সিস্ট বা টিউমার যেমন ফাইব্রয়েড, পলিপ ইত্যাদি মাসিকের সময় বৃদ্ধি করতে পারে। হরমোনাল সমস্যা: প্রজেস্টেরন এবং এস্ট্রোজেনের ভারসাম্যহীনতা, থাইরয়েড সমস্যা বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) মাসিকের সময়কে বাড়িয়ে দিতে পারে।
গর্ভধারণ বা গর্ভপাত: গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে অথবা গর্ভপাতের কারণে দীর্ঘস্থায়ী রক্তপাত হতে পারে। ইনফেকশন: জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের ইনফেকশনও দীর্ঘস্থায়ী রক্তপাতের কারণ হতে পারে। ঔষধ: পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ নিতে হবে। সাধারণত এই ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত ঔষধগুলো হতে পারে:
হরমোনাল থেরাপি: প্রজেস্টেরন বা কনট্রাসেপটিভ পিল: হরমোনের ভারসাম্য ঠিক করার জন্য চিকিৎসক প্রজেস্টেরন বা কনট্রাসেপটিভ পিল prescribe করতে পারেন। এটি মাসিকের সময় নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক হতে পারে। এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ঔষধ (NSAIDs): ব্যথা কমাতে ও রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করতে চিকিৎসক সাধারণত আইবুপ্রোফেন বা নাপ্রোক্সেন এর মতো NSAIDs ঔষধ দিতে পারেন।
হেমোস্ট্যাটিক ঔষধ: রক্তপাত নিয়ন্ত্রণের জন্য, কখনও কখনও ভিটামিন K, এমিক্যাপ্রোইন বা ট্রানেক্সামিক অ্যাসিড মতো হেমোস্ট্যাটিক ঔষধ ব্যবহৃত হতে পারে। আয়রন সাপ্লিমেন্ট: দীর্ঘস্থায়ী রক্তপাতের কারণে রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) হতে পারে, তাই চিকিৎসক আয়রন সাপ্লিমেন্ট বা ফোলিক অ্যাসিড দেয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
কীভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন: মাসিক ১০ দিন বা তার বেশি সময় ধরে চলে এবং এটি অতিরিক্ত রক্তপাতের সাথে হয়, তবে এটি একটি স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসক সাধারণত পর্যালোচনা করবেন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা (যেমন, আলট্রাসাউন্ড, রক্ত পরীক্ষা) করতে পরামর্শ দিবেন। অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়।
এছাড়া, মাসিকের সময় দীর্ঘস্থায়ী হওয়া, অতিরিক্ত ব্যথা বা অসুস্থতার সঙ্গে যদি কোনও উপসর্গ থাকে, তবে এটি এক ধরনের প্যাথলজিক্যাল অবস্থা নির্দেশ করতে পারে এবং আপনার দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
মাসিক বন্ধ না হলে করনীয়
মাসিক বন্ধ না হলে করনীয় যদি মাসিক বন্ধ না হয় বা অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে (যেমন, ১০ দিন বা তার বেশি), তাহলে এটি একটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি নয় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মাসিক বন্ধ না হওয়া বা দীর্ঘস্থায়ী মাসিকের জন্য কিছু কারণ হতে পারে এবং যথাযথ চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।
মাসিক বন্ধ না হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ: হরমোনাল অস্বাভাবিকতা: এস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মাসিকের অনিয়ম সৃষ্টি করতে পারে। এটি থাইরয়েড সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), অথবা গর্ভনিরোধক পিল ব্যবহারের কারণে হতে পারে। ফাইব্রয়েড বা পলিপ:
জরায়ুর ভিতরে ফাইব্রয়েড বা পলিপ রক্তপাত বা মাসিকের সময় বাড়িয়ে দিতে পারে। গর্ভাবস্থা বা গর্ভপাত: গর্ভাবস্থার প্রথম পর্যায়ে বা গর্ভপাতের কারণে মাঝে মাঝে মাসিক বন্ধ না হওয়া বা অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। ইনফেকশন বা প্রদাহ: জরায়ু বা ডিম্বাশয়ে ইনফেকশন (যেমন, পাইলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ বা PID) মাসিকের অনিয়ম সৃষ্টি করতে পারে।
মানসিক চাপ বা জীবনযাত্রার সমস্যা: অতিরিক্ত স্ট্রেস, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, ওজনের ওঠানামা, বা জীবনযাত্রার সমস্যা মাসিকের অনিয়মিততার কারণ হতে পারে। মিনোপজ বা পারি-মিনোপজ: ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মিনোপজের আগের সময়ে মাসিকের ঘনত্ব পরিবর্তিত হতে পারে।
মাসিক বন্ধ না হলে করণীয়: চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া: মাসিক বন্ধ না হওয়া বা দীর্ঘস্থায়ী হলে প্রথমে গাইনোকোলজিস্ট বা এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট এর পরামর্শ নেওয়া উচিত। তারা সঠিক পরীক্ষা (যেমন, আলট্রাসাউন্ড, রক্ত পরীক্ষা, হরমোনাল পরীক্ষা) করতে বলতে পারেন এবং সমস্যার কারণ চিহ্নিত করবেন।
পরীক্ষা করা: চিকিৎসক হরমোনাল পরীক্ষা, থাইরয়েড পরীক্ষা, আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান ইত্যাদি করতে পারেন, যা মাসিকের বন্ধ বা অনিয়মিততার কারণ বের করতে সাহায্য করবে। হরমোনাল চিকিৎসা: যদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকে, তবে চিকিৎসক হরমোনাল থেরাপি (যেমন, প্রজেস্টেরন বা কনট্রাসেপটিভ পিল) ব্যবহার করতে পরামর্শ দিতে পারেন।
যা মাসিক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। রক্তপাতের জন্য চিকিৎসা: যদি অতিরিক্ত রক্তপাত বা দীর্ঘস্থায়ী মাসিক থাকে, তাহলে চিকিৎসক হেমোস্ট্যাটিক ঔষধ (যেমন, ট্রানেক্সামিক অ্যাসিড) বা আইবুপ্রোফেন এর মতো ঔষধ দিতে পারেন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম। অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়।
এবং মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন বা পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া মাসিকের নিয়মিততা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। গর্ভাবস্থা নিশ্চিতকরণ: যদি গর্ভাবস্থার কারণে মাসিক বন্ধ না হওয়া হয়, তাহলে গর্ভধারণ পরীক্ষা (পিসিটি) করা উচিত, এবং গর্ভধারণ নিশ্চিত হলে গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।
কবে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে:
- যদি মাসিক ১৫ দিন বা তার বেশি সময় ধরে চলে বা অতিরিক্ত রক্তপাত ঘটে,
- যদি মাসিকের সাথে তীব্র ব্যথা, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা বা অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ থাকে,
- অথবা যদি মাসিকের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটে (যেমন, অত্যধিক রক্তপাত বা হালকা রক্তপাতের পরিবর্তে ভারী রক্তপাত)।
এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মাসিকের অনিয়মিততা বা বন্ধ না হওয়া বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, এবং সঠিক চিকিৎসা শুরু করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া অপরিহার্য।
হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ
হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়া (অর্থাৎ, মাসিক স্থগিত হয়ে যাওয়া) বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি এমন একটি শারীরিক পরিবর্তন, যা হরমোনাল অস্বাভাবিকতা, শারীরিক বা মানসিক চাপ, বা অন্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে হতে পারে। নিম্নে কিছু সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলো:
গর্ভাবস্থাঃ গর্ভাবস্থা একটি সাধারণ কারণ, যেটি মাসিক বন্ধ করার জন্য সবচেয়ে প্রথম যে চিন্তা করতে হয়। গর্ভধারণের কারণে মাসিক বন্ধ হতে পারে, তাই গর্ভধারণ নিশ্চিত করতে একটি গর্ভধারণ টেস্ট করা উচিত। মানসিক বা শারীরিক চাপ অতিরিক্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বা জীবনযাত্রার অস্থিরতা মাসিক বন্ধ করতে পারে।
শরীরের স্ট্রেস রেসপন্স হরমোনাল ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে মাসিক বন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা অতিরিক্ত ওজন হ্রাসও মাসিক বন্ধ করতে পারে। হরমোনাল সমস্যা থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থির অতিরিক্ত বা অপ্রতুল কার্যকলাপ (হাইপারথাইরয়ডিজম বা হাইপোথাইরয়ডিজম) মাসিকের অনিয়ম সৃষ্টি করতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS): এই অবস্থায় ডিম্বাশয়ে সিস্ট তৈরি হতে পারে, যা মাসিক বন্ধ বা অনিয়মিত করতে পারে। হরমোনাল পরিবর্তন: এস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের ভারসাম্যহীনতা মাসিক বন্ধ করতে পারে। মিনোপজ বা পারি-মিনোপজ মিনোপজ (menopause) বা পারি-মিনোপজ। অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়।
(perimenopause): ৪৫-৫৫ বছর বয়সের মধ্যে মহিলাদের মাসিক বন্ধ হতে শুরু করতে পারে। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যেখানে হরমোনের পরিবর্তন মাসিক বন্ধ করে দেয়। ওজনের পরিবর্তন অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা অতিরিক্ত ওজন হ্রাস (যেমন, ১০% বা তার বেশি) মাসিকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম বা অল্প খাবার খাওয়ার কারণে মাসিক বন্ধ হতে পারে। গর্ভনিরোধক ঔষধ কিছু গর্ভনিরোধক ঔষধ, বিশেষ করে হরমোনাল কনট্রাসেপটিভ (যেমন, পিল) মাসিকের নিয়মিততা পরিবর্তন করতে পারে এবং কখনও কখনও মাসিক সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পারে।
স্বাস্থ্যগত সমস্যা গর্ভপাত বা মিসক্যারিজ: গর্ভধারণের প্রথম দিকে গর্ভপাত হলে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ইনফেকশন বা প্রদাহ: জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের সংক্রমণ (যেমন, পাইলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ বা PID) মাসিকের বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিস বা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগ: কিছু রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ।
বা অটোইমিউন রোগ মাসিকের নিয়মিততা বন্ধ করে দিতে পারে। ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছু ঔষধ যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস, স্টেরয়েডস, বা অন্যান্য চিকিৎসা মাসিক বন্ধ করতে পারে। অন্যান্য শারীরিক সমস্যা জরায়ুর অস্বাভাবিকতা (যেমন, জরায়ুর ফাইব্রয়েড), শারীরিক আঘাত বা অস্ত্রোপচার।
বা ক্যান্সারের মতো কিছু গুরুতর শারীরিক অবস্থা মাসিক বন্ধ করতে পারে। কী করতে হবে: গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করুন: যদি আপনার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় এবং গর্ভাবস্থার উপসর্গ থাকে, তাহলে একটি গর্ভাবস্থা টেস্ট করা উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ: মাসিক বন্ধ হলে, বিশেষ করে যদি এটি হঠাৎ ঘটে এবং যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
তাহলে একজন গাইনোকোলজিস্ট বা এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট এর পরামর্শ নেওয়া উচিত। তারা সঠিক পরীক্ষা নির্ধারণ করে সমস্যা চিহ্নিত করবেন। মাসিক হঠাৎ বন্ধ হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা নয় এবং এর পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল আপনাদের সাথে আলোচনা মুখ্য বিষয় ছিল অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয় সাথে আরো আলোচনা করেছি মাসিক কত দিন থাকা ভালো পরিপূর্ণ বিবরণ সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে।
আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, এবং কোন কোন বিষয়গুলি আপনার ভালো লেগেছে আপনার নিকঠিত বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষা দেওয়া আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন, আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রোকন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url